অ্যান্ড্রয়েড টিপস্ লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
অ্যান্ড্রয়েড টিপস্ লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর, ২০১৯

স্মার্টফোনের ব্যাটারি ব্যাকআপ বৃদ্ধির অজানা কিছু কৌশল!


ব্যাটারিঃ 
স্মার্টফোন চালানোর সময় একটা ব্যাপার সবার মনেই কড়া নাড়ে। সেটা হচ্ছে এর ব্যাটারি লেভেল। অনেকে আছেন যারা ব্যাটারির চার্জ ফুরানোর ভয়ে ফোনের ব্রাইটনেস এত কমিয়ে রাখেন যে, স্ক্রিনে কিছু দেখাই কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। এই সবকিছুই করা হয় শুধুমাত্র একটু বেশি সময় ব্যাটারি ব্যাকআপ পাওয়ার আশায়। কিন্তু আরও অনেক কৌশল আছে যেগুলো অনুসরণ করলে স্মার্টফোনের ব্যাটারি ব্যাকআপ অভাবনীয়ভাবে বৃদ্ধি পায়। চলুন জেনে নিই সেগুলো ।

নেটওয়ার্কঃ
দুর্বল নেটওয়ার্ক পরিষেবা ফোনের ব্যাটারি ব্যাকআপের জন্য ক্ষতিকর। যেসব স্থানের নেটওয়ার্ক আপনার ফোনের নেটওয়ার্ক সামর্থ্যের থেকে খারাপ, সেসব স্থানে ইন্টারনেট ও ভয়েস কল সেবা ব্যবহারে ব্যাটারির শক্তি অতিরিক্ত পরিমাণে বেশি ব্যবহৃত হয়। কারণ, এটি বার বার রিকানেক্ট হয়। যদি আপনার ফোনে চার্জ কম থাকে, তবে এসব জায়গায় ফোনের ফ্লাইট মুড চালু করে রাখলে ব্যাটারি বেঁচে যাবে। যদিও, ফ্লাইট মুড চালু করলে মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক একেবারেই বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, ফলে এই অবস্থায় আপনার ফোনে কোনো কল আসবেনা এবং মোবাইল ডেটাও ব্যবহার করা যাবেনা। আপনার যখন দরকার হবে, তখন ফ্লাইট মুড বন্ধ করলে আবার ফোনে নেটওয়ার্ক চলে আসবে। অবশ্য ফ্লাইট মুডে ফোনের ওয়াই-ফাই কাজ করে ।



নোটিফিকেশনঃ
আপনার ফোনের বিভিন্ন অ্যাপ হয়ত আপনাকে বিভিন্ন কারণে নোটিফিকেশন দেয়। ফেসবুক কমেন্ট, মেসেঞ্জারের মেসেজ বা ইমো’র মিসড কল প্রভৃতি নোটিফিকেশনের কারণে ফোনের ব্যাটারির চার্জ খরচ হয়। এ ধরনের অ্যাপ্লিকেশনগুলো নির্দিষ্ট সময় পরপর নতুন বার্তা দেখানোর জন্য ব্যাকগ্রাউন্ডেই রিফ্রেশ হয়। তাই আপনি যদি ব্যাটারি ব্যাকআপ বেশি পেতে চান, তাহলে ফোনের এসব অ্যাপের নোটিফিকেশন সেটিংসে গিয়ে যত কম সম্ভব নোটিফিকেশন পাওয়ার ব্যবস্থা করুন ।

ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপঃ
ফেসবুক, স্কাইপ, মেসেঞ্জার, ইমো, হোয়াটসঅ্যাপ প্রভৃতি অ্যাপ্লিকেশন ব্যাকগ্রাউন্ডেও চলতে থাকে। আপনি যদি এদের নোটিফিকেশন না পেতে চান, তাহলে এগুলোর ব্যাকগ্রাউন্ড রিফ্রেশ বা অটো-স্টার্ট পারমিশন বন্ধ করে রাখতে পারেন ।

জিপিএস, ব্লুটুথ, ওয়াইফাইঃ
ব্লুটুথ বা জিপিএস এর মত যেকোনো সার্ভিস চালু রাখলে আপনার ফোনের ব্যাটারির শক্তি ব্যবহৃত হয়। তাই অপ্রয়োজনীয়ভাবে কখনোই জিপিএস, ব্লুটুথ বা ওয়াইফাই চালু রাখবেন না ।



ফটোগ্রাফিঃ
আপনি নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন, ছবি তুলতে এবং ভিডিও রেকর্ড করতে কী পরিমাণ চার্জের প্রয়োজন হয়। ছবি তুললে, বিশেষত ভিডিও করলে ক্যামেরার কাজের জন্য অনেক পরিমাণ চার্জের দরকার হয়। এসময় আপনি ফোনের অন্য সকল সার্ভিস বন্ধ করে শুধুমাত্র ছবি বা ভিডিও করার দিকে মনোযোগ দিতে পারেন- এতে অন্তত কিছুটা হলেও ব্যাটারি সাশ্রয় হবে। আর অপ্রয়োজনে ফ্ল্যাশ ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন ।

জিপিএস এর কৌশলী ব্যবহারঃ
হ্যাঁ, চলাচলের সময় আপনি জিপিএস ব্যবহার করতেই পারেন। কিন্তু ফেসবুক, টুইটার, হোয়াটসঅ্যাপ এসব অ্যাপে শুধু শুধু জিপিএস ব্যবহারের দরকার নেই। এমন ব্যবহারে আপনার ব্যাটারির অতিরিক্ত শক্তি খরচ হয়। তাই এটির পরিমিত ব্যবহার করুন। কোথাও যেতে চাইলে সেখানকার গুগল ম্যাপ ডেটা আগে থেকে ডাউনলোড করে নিলে পরে সেখানে গিয়ে অফলাইনে ম্যাপ ব্যবহার করতে পারেন- এতে নেটওয়ার্কিং এর জন্য শক্তি ব্যয় করতে হবেনা!

স্ক্রিন ব্রাইটনেস নিয়ন্ত্রণঃ
স্ক্রিনের অটো ব্রাইটনেস ফিচার বন্ধ রাখুন। এটি চালু থাকলে ফোনের সেন্সর সব সময় কাজ করে, আর আপনার চারপাশের আলো অনুযায়ী স্ক্রিনের ব্রাইটনেস কমায় ও বাড়ায়। এতে অতিরিক্ত ব্যাটারি শক্তি খরচ হয়। এর চেয়ে বরং নিজেই একটা নির্দিষ্ট স্ক্রিন ব্রাইটনেস লেভেল নির্ধারন করে নিন। প্রয়োজনে কিছুক্ষণ পর আবার পরিবর্তন করুন ।

লাইভ ওয়ালপেপার ও উইজেটঃ
ফোনের লাইভ ওয়ালপেপার সাধারণ ওয়ালপেপারের তুলনায় বেশি চার্জ খরচ করে। সুতরাং, ব্যাটারি ব্যাকআপ বেশি চাইলে লাইভ ওয়ালপেপার ব্যবহার করা বন্ধ করুন। বিভিন্ন উইজেট, যেমন আবহাওয়া, ইমেইল, নিউজ, প্রভৃতি, যেগুলো নির্দিষ্ট সময় পরপর আপডেট হয়, সেগুলো ব্যবহার কমালে তা ব্যাটারি ব্যাকআপ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে উপকারী হবে ।





খুব গরম বা খুব ঠান্ডা স্থানেঃ
অতিরিক্ত গরম বা ঠান্ডায় ফোনের ব্যাটারি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ১৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস হচ্ছে মোবাইলের ব্যাটারির জন্য আদর্শ তাপমাত্রা। এর চেয়ে বেশি হলে সেটি কার্যক্ষমতা হারাবে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, ২৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রায় কোন লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি রাখা হলে প্রতি বছর সেটি ২০% ধারণক্ষমতা হারাবে। আর সর্বোচ্চ ৪০-৫০ ডিগ্রী সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রায় ব্যাটারিটি তাৎক্ষণিক ক্ষতি (যেমন বিস্ফোরণ) থেকে নিরাপদ থাকবে ।

সফটওয়্যার আপডেটঃ
আপনার ফোনের অপারেটিং সিস্টেম ও অ্যাপস আপডেটেড রাখুন। কেননা ডেভেলপাররা প্রতিনিয়ত চেষ্টা করেন অ্যাপ্লিকেশন ও ওএস আরও বেশি ব্যবহারবান্ধব করে তোলার। সুতরাং আপডেটেড সফটওয়্যার ব্যাটারির জন্য ভালো হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি ।

টুজি/থ্রিজি/ফোরজিঃ
থ্রিজি ও ফোরজি নেটওয়ার্কে ফোন ব্যবহার করলে তা টুজি নেটওয়ার্কের চেয়ে বেশি ব্যাটারির শক্তি খরচ করে। যদিও টুজি নেটওয়ার্কে ইন্টারনেটের গতি কম থাকে, এবং ক্ষেত্রবিশেষে ভয়েসের মানও কিছুটা কম হয়, তাই আপনি চাইলে এই সীমাবদ্ধতা মেনে নিয়ে শুধুমাত্র বেশি ব্যাটারি ব্যাকআপ পাওয়ার জন্য টুজি নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে পারেন। ফোনের নেটওয়ার্ক সেটিংসে গিয়ে ২জি/৩জি/৪জি নেটওয়ার্ক বাছাই করা যাবে ।

ভাইব্রেশনঃ
ফোনের ভাইব্রেশন ফিচারটির জন্য মোবাইলের মধ্যে একটি ছোট মোটর দেয়া থাকে। এটি নিঃসন্দেহে ভালই চার্জ খরচ করে। তাই টাচ ও অন্যান্য ইফেক্টের ক্ষেত্রে ভাইব্রেশন বন্ধ করে রাখুন। মনে রাখবেন, ফোন কলের ক্ষেত্রে ভাইব্রেশন বন্ধ করলে চলতি পথে সেটা আপনার জন্য অসুবিধার কারণ হতে পারে (কেউ আপনাকে কল করলে আপনি হয়ত টের পাবেন না)। সুতরাং কখন ভাইব্রেশন থাকবে, আর কখন থাকবেনা, সেটাও আপনাকেই ঠিক করতে হবে ।



পাওয়ার সেভিং মুডঃ
প্রত্যেক স্মার্টফোনেই ব্যাটারি সেভিং বা পাওয়ার সেভিং মুড থাকে। আইফোনের ক্ষেত্রে এটাকে বলে ‘লো পাওয়ার মুড’। এই মুডগুলো চালু করলে ফোনের ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপ অধিকাংশই বন্ধ থাকে। স্ক্রিনের ব্রাইটনেসও কমে যায়। এটি আপনার ফোনের ব্যাটারি ব্যাকআপ বৃদ্ধির জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করে। তবে এই অবস্থায় ফোনের সব সুবিধা আপনি ব্যবহার করতে পারবেন না। সুতরাং যদি আপনার খুব বেশি চার্জের সমস্যা হয়, তাহলে ব্যাটারি ব্যাকআপ বাড়ানোর জন্য এই মুড ব্যবহার করতে পারেন ।

ফ্লাইট মুড, নাকি সুইচ অফ?
আপনার ফোন অন রাখার কারণে ব্যাটারির চার্জ ব্যবহার হয়, এটা সত্যি। যদি এমন হয় যে, ফোনে চার্জ কম আছে, কিন্তু অল্প সময়ের ব্যবধানে আবার ফোনটি কাজে লাগবে, এমন অবস্থায় স্মার্টফোন বন্ধ না করে বরং ফ্লাইট মুডে রাখা ভালো, কারণ একবার বন্ধ হয়ে আবার স্টার্ট নিতেও ফোনের বেশ খানিকটা বিদ্যুৎ দরকার পড়ে, যা পুরোপুরি বন্ধ রাখার কারণে সাশ্রয়কৃত বিদ্যুতের পরিমাণের থেকে বেশি হয়ে যেতে পারে ।

অন্যান্যঃ
ফোন ব্যবহারের পর সেট লক করে রাখুন। এতে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে কোনো অপশন চালু হতে পারবে না। ভিজ্যুয়াল ইফেক্ট বন্ধ করে রাখতে পারেন। প্রতি মাসে অন্তত একবার ফোনের ব্যাটারি পুরোপুরি চার্জ এবং সম্পূর্ণ ডিসচার্জ করুন ।

আশা করি এই টিপসগুলো আপনার ফোনের ব্যাটারি ব্যাকআপ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে । আপনার যদি কোনো পরামর্শ থাকে, তবে কমেন্টে জানান । ধন্যবাদ

লেখা ও সম্পাদনাঃ শরিফুল ইসলাম

সোমবার, ২১ অক্টোবর, ২০১৯

••• অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনে গতি বাড়ানোর কিছু উপায় ••• (বিস্তারিত)

পুরোনো স্মার্টফোনের গতি কমে যাওয়ায় ছোটখাটো কোনো কাজ করতেও মাঝে মাঝে অনেক সময় লেগে যায়। আপনি যদি মনে করেন আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনটির গতি কম এবং কাজ করতে অসুবিধা হয় তবে নিচের প্রক্রিয়া চেষ্টা করতে পারেন ।
★আসুন জেনে নিই অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনের গতি বাড়ানোর কিছু উপায়...

ফোন রিস্টার্ট করুনঃ
প্রথমেই আপনার ফোনে অন্য কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করার আগে শাট-ডাউন করুন অথবা আপনার ফোন পুনরায় আরম্ভ করার চেষ্টা করুন ।

ফোনের সিস্টেমের আপডেট নিশ্চিত করুনঃ
ফোন যদি স্লো হয়ে যায় তবে সম্ভবত আপনার ফোনে আপনি সর্বশেষ আপডেট অ্যান্ড্রয়েড সফটওয়্যার ইনস্টল করতে ভুলে গেছেন। কোনো আপডেট আছে কিনা দেখতে আপনার ডিভাইসের সেটিংস >অ্যাবাউট ডিভাইস >সফটওয়্যার আপডেট -এ যেয়ে দেখে নিন ।

পুরাতন ফটো, অ্যাপ এবং অন্য সবকিছু মুছে দিনঃ
এরপরও যদি আপনার ফোন ধীরগতির হয় তাহলে প্রয়োজন হবে না এমন ফাইল মুছে ফেলুন। পুরানো ছবি এবং মিউজিক ফাইল মুছে ফেলতে ভুলে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। তবে আপনার ফোনের আবার চলমান গতি ফিরে পেতে এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এছাড়া বিভিন্ন অ্যাপসের কারণে কমে যেতে পারে আপনার ফোনের গতি। কেননা অনেক অ্যাপস অনেক সময় আপনার ফোনের ব্যাকগ্রাউন্ডে চলতে থাকে, যা স্লো করে দিতে পারে আপনার ফোনের গতি। এছাড়াও অনেক অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ আপনার ফোনের অনেকটুকু জায়গা দখল করে। তাই এসব অপ্রয়োজনীয় অ্যাপস মুছে ফেলাই ভালো ।

অ্যাপ্লিকেশন ক্যাশে সাফ করুনঃ
আপনার ফোন কখনও কখনও একটি অ্যাপ্লিকেশনের সাথে যুক্ত ছবি ও টুকরো তথ্য সংরক্ষণ করে রাখে যাতে এটা আপনাকে ঐ অ্যাপ্লিকেশন ওপেন করার সময় বার বার ডাউনলোড করতে না হয়। এটা সাধারণত একটা ইতিবাচক বৈশিষ্ট্য। কিন্তু এতেও আপনার ফোন স্লো হয়ে যায়। তাই আপনার যদি মনে হয় আপনার ফোন ধীরগতির হয়ে গেছে তবে এসব ছবি ও টুকরো তথ্য ডিলিট করে দিন। সেটিংস > স্টোরেজ > ক্যাশেড ডেটা -তে যেয়ে ক্লিয়ার করুন আপনার অ্যাপ্লিকেশন ক্যাশে ।

অ্যানিমেশন বন্ধ করুনঃ
আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোন দ্রুতগতির করতে অ্যানিমেশন ব্যবহার বন্ধ করুন। অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম অ্যানিমেশন থেকে পরিত্রাণ পেতে আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনে একটি সম্পূর্ণ নতুন সেটিংস মেনু আনলক করতে পারেন। সেটিংস > অ্যাবাউট ফোন -এ যেয়ে নিচে স্ক্রোল করে বিল্ড নাম্বার -এ ঠিক সাত বার ট্যাপ করুন। এই কাজ করার পরে, আপনি ফোনের সিস্টেম সেটিংসে একটি ‘ডেভেলপার অপশন’ মেন্যুর অ্যাক্সেস পাবেন। এই মেন্যুতে আপনি উইন্ডো অ্যানিমেশন স্কেল, অ্যানিমেশন পরিবর্তন স্কেল এবং অ্যানিমেশন সময়কাল স্কেল পাবেন প্রতিটি ট্যাপ করে দশমিক ফাইভএক্স -এ সেট করুন বা বন্ধ করে দিন ।

কাস্টম রম ইনস্টল করার চেষ্টা করুনঃ
আপনার ফোনটি যদি একটি পুরোনো অ্যান্ড্রয়েড ফোন হয়, যা নতুন আপডেট নেওয়ার উপযোগী নয়। তবে আপনার ফোনে একটি কাস্টম রম ইনস্টল করুন, যা সাম্প্রতিক সফটওয়্যার চালানোর অনুমতি দিবে এবং সেই সাথে এটি আপনার ফোনের বর্তমান পারফরম্যান্স মন্দ হলে তা দ্রুত রান করতেও সহায়তা করবে ।

ক্রোম ব্রাউজার সমস্যার সমাধানঃ
আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ক্রোম ব্রাউজার যদি স্লো হয়ে থাকে তবে এই সমস্যা ঠিক করার জন্য একটি উপায় অবশ্য আছে। আপনার ফোনের ক্রোম ব্রাউজার দ্রুত করতে আপনার ফোনের বেশী মেমরি ব্যবহার করার অনুমতি দিতে পারেন। এর জন্য শুধু ক্রোম খুলুন একটি নতুন ট্যাব আরম্ভ করুন এবং ইউআরএল বারে নিম্নলিখিত কমান্ড টাইপ করুন: chrome://flags/#max-tiles-for-interest-area। এতে একটি মেন্যু আসবে যাতে আপনি কতটুকু মেমোরি ব্যবহার করতে চান তা পরিবর্তন করতে পারবেন। সেজন্য এখন ডিফল্ট ‘১২৮’ এর জায়গায় ‘৫১২’ নির্বাচন করুন ।

প্রসেসিং ক্ষমতা বেশী ব্যবহার করে এমন অ্যাপ্লিকেশনের ব্যাপারে খেয়াল রাখুনঃ
প্রায় সময় আপনার ফোনে বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন থেকে পাওয়া অদ্ভুত বাগ বা ত্রুটি দেখতে পারেন। আসলে কোন অ্যাপ্লিকেশনের কারণে এমনটা হয় তা বলা কঠিন। যদি মনে হয় আপনার ডিভাইসে এমনটা ঘটছে তবে ‘ওয়াচডগ টাস্ক ম্যানেজার’ অ্যাপটি ব্যবহার করে দেখতে পারেন। এই অ্যাপ আপনার ফোনের প্রতিটি অ্যাপ কি পরিমাণ কম্পিউটার শক্তি ও রিসোর্স ব্যবহার করে তা মনিটর করে জানাতে সাহায্য করে ।

ব্যাকগ্রাউন্ড ডেটা নিষ্ক্রিয় করুনঃ
ব্যাকগ্রাউন্ড ডেটা ব্যবহার করা আপনার ফোন ধীরে চলার একটি অন্যতম কারণ হতে পারে। এটি ব্যবহার সীমিত বা বন্ধ করলে আপনার ফোনের গতি শুধু বাড়াবেই না বরং এটি আপনার প্রতি মাসে ডেটা ব্যবহার কমাতে সাহায্য করতে পারে। কোন অ্যাপগুলো ব্যাকগ্রাউন্ড ডেটা ব্যবহার করে তা দেখতে সেটিংস থেকে ডেটা ইউজেজ -এ গিয়ে দেখতে পারবেন ।

ফ্যাক্টরি রিসেটের চেষ্টা করুনঃ
আপনার ফোন অসহনীয়রূপে ধীরগতির হয়ে গেলে একটি ফ্যাক্টরি রিসেটের চেষ্টা করুন। এটি আপনার তথ্য, অ্যাপ্লিকেশন, ফটো, মিউজিক সব নিশ্চিহ্ন করে ফেলবে। তাই সবকিছুর ব্যাকআপ রাখুন। একটি ফ্যাক্টরি রিসেট মূলত আপনার ফোনটিকে সেই অবস্থায় নিয়ে যাবে, যা ফোনটি কেনার সময় ছিল। এর জন্য সেটিংস >ব্যাকআপ থেকে রিসেট >ফ্যাক্টরি রিসেট -এ গিয়ে রিসেট করুন ।

পোস্টগুলো ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন ।

এবং কৃতজ্ঞতা স্বরূপ  শরিফুল ইসলাম জুনিয়র পেইজে একটি লাইক/ফলো দিবেন । ধন্যবাদ

You can read more

কোরআন ও হাদিস স্বীকৃত আয়াতে শেফা বা সুস্থ হবার তদবির

সুস্থতা-অসুস্থতা উভয়টিই আল্লাহর নেয়ামত। সুস্থ হলে মানুষ বেশি করে আল্লাহর ইবাদত করতে পারে। শোকর আদায় করে কৃতজ্ঞ হতে পারে। আর অসুস্থ হলে আল্লা...