Electronics লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
Electronics লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

সোমবার, ২১ অক্টোবর, ২০১৯

••• অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনে গতি বাড়ানোর কিছু উপায় ••• (বিস্তারিত)

পুরোনো স্মার্টফোনের গতি কমে যাওয়ায় ছোটখাটো কোনো কাজ করতেও মাঝে মাঝে অনেক সময় লেগে যায়। আপনি যদি মনে করেন আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনটির গতি কম এবং কাজ করতে অসুবিধা হয় তবে নিচের প্রক্রিয়া চেষ্টা করতে পারেন ।
★আসুন জেনে নিই অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনের গতি বাড়ানোর কিছু উপায়...

ফোন রিস্টার্ট করুনঃ
প্রথমেই আপনার ফোনে অন্য কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করার আগে শাট-ডাউন করুন অথবা আপনার ফোন পুনরায় আরম্ভ করার চেষ্টা করুন ।

ফোনের সিস্টেমের আপডেট নিশ্চিত করুনঃ
ফোন যদি স্লো হয়ে যায় তবে সম্ভবত আপনার ফোনে আপনি সর্বশেষ আপডেট অ্যান্ড্রয়েড সফটওয়্যার ইনস্টল করতে ভুলে গেছেন। কোনো আপডেট আছে কিনা দেখতে আপনার ডিভাইসের সেটিংস >অ্যাবাউট ডিভাইস >সফটওয়্যার আপডেট -এ যেয়ে দেখে নিন ।

পুরাতন ফটো, অ্যাপ এবং অন্য সবকিছু মুছে দিনঃ
এরপরও যদি আপনার ফোন ধীরগতির হয় তাহলে প্রয়োজন হবে না এমন ফাইল মুছে ফেলুন। পুরানো ছবি এবং মিউজিক ফাইল মুছে ফেলতে ভুলে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। তবে আপনার ফোনের আবার চলমান গতি ফিরে পেতে এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এছাড়া বিভিন্ন অ্যাপসের কারণে কমে যেতে পারে আপনার ফোনের গতি। কেননা অনেক অ্যাপস অনেক সময় আপনার ফোনের ব্যাকগ্রাউন্ডে চলতে থাকে, যা স্লো করে দিতে পারে আপনার ফোনের গতি। এছাড়াও অনেক অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ আপনার ফোনের অনেকটুকু জায়গা দখল করে। তাই এসব অপ্রয়োজনীয় অ্যাপস মুছে ফেলাই ভালো ।

অ্যাপ্লিকেশন ক্যাশে সাফ করুনঃ
আপনার ফোন কখনও কখনও একটি অ্যাপ্লিকেশনের সাথে যুক্ত ছবি ও টুকরো তথ্য সংরক্ষণ করে রাখে যাতে এটা আপনাকে ঐ অ্যাপ্লিকেশন ওপেন করার সময় বার বার ডাউনলোড করতে না হয়। এটা সাধারণত একটা ইতিবাচক বৈশিষ্ট্য। কিন্তু এতেও আপনার ফোন স্লো হয়ে যায়। তাই আপনার যদি মনে হয় আপনার ফোন ধীরগতির হয়ে গেছে তবে এসব ছবি ও টুকরো তথ্য ডিলিট করে দিন। সেটিংস > স্টোরেজ > ক্যাশেড ডেটা -তে যেয়ে ক্লিয়ার করুন আপনার অ্যাপ্লিকেশন ক্যাশে ।

অ্যানিমেশন বন্ধ করুনঃ
আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোন দ্রুতগতির করতে অ্যানিমেশন ব্যবহার বন্ধ করুন। অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম অ্যানিমেশন থেকে পরিত্রাণ পেতে আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনে একটি সম্পূর্ণ নতুন সেটিংস মেনু আনলক করতে পারেন। সেটিংস > অ্যাবাউট ফোন -এ যেয়ে নিচে স্ক্রোল করে বিল্ড নাম্বার -এ ঠিক সাত বার ট্যাপ করুন। এই কাজ করার পরে, আপনি ফোনের সিস্টেম সেটিংসে একটি ‘ডেভেলপার অপশন’ মেন্যুর অ্যাক্সেস পাবেন। এই মেন্যুতে আপনি উইন্ডো অ্যানিমেশন স্কেল, অ্যানিমেশন পরিবর্তন স্কেল এবং অ্যানিমেশন সময়কাল স্কেল পাবেন প্রতিটি ট্যাপ করে দশমিক ফাইভএক্স -এ সেট করুন বা বন্ধ করে দিন ।

কাস্টম রম ইনস্টল করার চেষ্টা করুনঃ
আপনার ফোনটি যদি একটি পুরোনো অ্যান্ড্রয়েড ফোন হয়, যা নতুন আপডেট নেওয়ার উপযোগী নয়। তবে আপনার ফোনে একটি কাস্টম রম ইনস্টল করুন, যা সাম্প্রতিক সফটওয়্যার চালানোর অনুমতি দিবে এবং সেই সাথে এটি আপনার ফোনের বর্তমান পারফরম্যান্স মন্দ হলে তা দ্রুত রান করতেও সহায়তা করবে ।

ক্রোম ব্রাউজার সমস্যার সমাধানঃ
আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ক্রোম ব্রাউজার যদি স্লো হয়ে থাকে তবে এই সমস্যা ঠিক করার জন্য একটি উপায় অবশ্য আছে। আপনার ফোনের ক্রোম ব্রাউজার দ্রুত করতে আপনার ফোনের বেশী মেমরি ব্যবহার করার অনুমতি দিতে পারেন। এর জন্য শুধু ক্রোম খুলুন একটি নতুন ট্যাব আরম্ভ করুন এবং ইউআরএল বারে নিম্নলিখিত কমান্ড টাইপ করুন: chrome://flags/#max-tiles-for-interest-area। এতে একটি মেন্যু আসবে যাতে আপনি কতটুকু মেমোরি ব্যবহার করতে চান তা পরিবর্তন করতে পারবেন। সেজন্য এখন ডিফল্ট ‘১২৮’ এর জায়গায় ‘৫১২’ নির্বাচন করুন ।

প্রসেসিং ক্ষমতা বেশী ব্যবহার করে এমন অ্যাপ্লিকেশনের ব্যাপারে খেয়াল রাখুনঃ
প্রায় সময় আপনার ফোনে বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন থেকে পাওয়া অদ্ভুত বাগ বা ত্রুটি দেখতে পারেন। আসলে কোন অ্যাপ্লিকেশনের কারণে এমনটা হয় তা বলা কঠিন। যদি মনে হয় আপনার ডিভাইসে এমনটা ঘটছে তবে ‘ওয়াচডগ টাস্ক ম্যানেজার’ অ্যাপটি ব্যবহার করে দেখতে পারেন। এই অ্যাপ আপনার ফোনের প্রতিটি অ্যাপ কি পরিমাণ কম্পিউটার শক্তি ও রিসোর্স ব্যবহার করে তা মনিটর করে জানাতে সাহায্য করে ।

ব্যাকগ্রাউন্ড ডেটা নিষ্ক্রিয় করুনঃ
ব্যাকগ্রাউন্ড ডেটা ব্যবহার করা আপনার ফোন ধীরে চলার একটি অন্যতম কারণ হতে পারে। এটি ব্যবহার সীমিত বা বন্ধ করলে আপনার ফোনের গতি শুধু বাড়াবেই না বরং এটি আপনার প্রতি মাসে ডেটা ব্যবহার কমাতে সাহায্য করতে পারে। কোন অ্যাপগুলো ব্যাকগ্রাউন্ড ডেটা ব্যবহার করে তা দেখতে সেটিংস থেকে ডেটা ইউজেজ -এ গিয়ে দেখতে পারবেন ।

ফ্যাক্টরি রিসেটের চেষ্টা করুনঃ
আপনার ফোন অসহনীয়রূপে ধীরগতির হয়ে গেলে একটি ফ্যাক্টরি রিসেটের চেষ্টা করুন। এটি আপনার তথ্য, অ্যাপ্লিকেশন, ফটো, মিউজিক সব নিশ্চিহ্ন করে ফেলবে। তাই সবকিছুর ব্যাকআপ রাখুন। একটি ফ্যাক্টরি রিসেট মূলত আপনার ফোনটিকে সেই অবস্থায় নিয়ে যাবে, যা ফোনটি কেনার সময় ছিল। এর জন্য সেটিংস >ব্যাকআপ থেকে রিসেট >ফ্যাক্টরি রিসেট -এ গিয়ে রিসেট করুন ।

পোস্টগুলো ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন ।

এবং কৃতজ্ঞতা স্বরূপ  শরিফুল ইসলাম জুনিয়র পেইজে একটি লাইক/ফলো দিবেন । ধন্যবাদ

মঙ্গলবার, ৭ নভেম্বর, ২০১৭

ট্রানজিস্টর সম্পর্কে বিস্তারতি আলোচনা

ইলেকট্রনিক্স পোস্টঃ ট্রানজিস্টর বিস্তারতি আলোচনা(ট্রানজিস্টর, প্রকারভেদ) পর্ব-১

একটি পাতলা P- টাইপ বা N- টাইপ সেমিকন্ডাক্টরের উভয় পার্শে একটি করে বিপরীত টাইপের (N বা P) সেমিকন্ডাক্টর সংযোগ করলে যে ডিভাইসের সৃষ্টি হয় তাকে ট্রানজিস্টর বলে।

অন্যভাবে বলা যায়, এটি একটি তিন টার্মিনাল, তিন লেয়ার এবং দুই জাংশন বিশিষ্ট সেমিকন্ডাক্টর ডিভাইস যা ইনপুট সিগনালের শক্তি বৃদ্ধি করে এবং বিভিন্ন ইলেকট্রনিক সুইচিং এর মাধ্যমে বিভিন্ন কাজ সমাধান করে।

দুইটি P -টাইপ সেমিকন্ডাক্টরের মাঝে একটি N -টাইপ সেমিকন্ডাক্টর বা দুইটি N -টাইপ সেমিকন্ডাক্টরের মাঝে একটি P -টাইপ সেমিকন্ডাক্টর স্থাপন করে ট্রানজিস্টর তৈরি করা হয়।

প্রকারভেদঃ

সাধারনভাবে ট্রানজিস্টরের শ্রেণীবিভাগ করা কঠিন। আধুনিক গবেষণায় ট্রানজিস্টর দিনে দিনে এক বৈপ্লবিক রূপ নিচ্ছে, নতুন নতুন ক্যাটাগড়ি তৈরি হচ্ছে। তবুও আমরা মোটামোটি একটা ধারণা পেতে পারি ।

প্রাথমিকভাবে সকল ট্রানজিস্টরকে প্রধান দুটি ভাগে বিভক্ত করা যায়ঃ

পয়েন্ট কন্টাক্ট
জাংশন

গঠন প্রকৃতির উপর ভিত্তি করে জাংশন ট্রানজিস্টরসমূহ নিম্নলিখিত প্রকারের হয়ে থাকেঃ

বাইপোলার জাংশন ট্রানজিস্টর (BJT)
ফিল্ড ইফেক্ট ট্রানজিস্টর (FET)

বাইপোলার জাংশন ট্রানজিস্টর (BJT) এর জাংশন প্রকৃতি ও পোলারিটি অনুসারে দুই ধরণেরঃ

NPN
PNP

ফিল্ড ইফেক্ট ট্রানজিস্টর (FET) দুই ধরণের হয়ঃ

জাংশন ফিল্ড ইফেক্ট ট্রানজিস্টর (JFET)
মেটাল অক্সাইড সেমিকন্ডাকটর ফিল্ড ইফেক্ট ট্রানজিস্টর (MOSFET)
FET আবার দুই ধরণের হয়ে থাকেঃ

n-চ্যানেল JFET
p-চ্যানেল JFET

MOSFET বা IGFET দুই ধরনের হয়ে থাকেঃ

ডিপ্লেশন এনহেন্সমেন্ট টাইপ (DE MOSFET)
এনহেন্সমেন্ট অনলি টাইপ (E-only MOSFET)

ডিপ্লেশন এনহেন্সমেন্ট টাইপ (DE MOSFET) দুই ধরনের হয়ে থাকেঃ

n-চ্যানেল DE MOSFET
p-চ্যানেল DE MOSFET

এনহেন্সমেন্ট অনলি টাইপ (E-only MOSFET) দুই ধরনের হয়ে থাকেঃ

n-চ্যানেল E-only MOSFET
p-চ্যানেল E-only MOSFET

ব্যবহৃত সেমিকন্ডাকটরের উপর ভিত্তি করে ট্রানজিস্টর নিম্নলিখিত প্রকারের হয়ে থাকেঃ

জার্মেনিয়াম
সিলিকন
পলিক্রিস্টালিন
মনোক্রিস্টালিন
সিলিকন কার্বাইড (ট্রানজিস্টর)

[ভালো লাগলে শেয়ার করতে ভুলবেন না বন্ধুরা ।]

You can read more

কোরআন ও হাদিস স্বীকৃত আয়াতে শেফা বা সুস্থ হবার তদবির

সুস্থতা-অসুস্থতা উভয়টিই আল্লাহর নেয়ামত। সুস্থ হলে মানুষ বেশি করে আল্লাহর ইবাদত করতে পারে। শোকর আদায় করে কৃতজ্ঞ হতে পারে। আর অসুস্থ হলে আল্লা...