অজানা তথ্য লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
অজানা তথ্য লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

মঙ্গলবার, ৩০ মে, ২০২৩

এরদোগানের জয়ের রহস্য আর বিরোধী দলের পরাজয়

এরদোগান কে পশ্চিমা বিশ্বের কেউ তুরস্কের প্রেসিডেন্ট হিসেবে চায়নি, কারণ এরদোগান ইসলামপন্থী এবং তাদের পুরোপুরি অনুগত নয়। 
তারা বিরোধী দল সিএইচপি কে ক্ষমতায় দেখতে চায় যারা পুরোপুরি সেক্যুলার এবং ওয়েস্টার্ন দের সম্পূর্ণ অনুগত। সিএইচপি এর সবচেয়ে বড়ো কুখ্যাতি হল তারা ইসলামবিরোধী কামাল আতাতুর্কের দল। আর কামাল আতাতুর্কের শাসনামল সম্পর্কে সবাই কমবেশি জানেন। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আদাজল খেয়ে নেমেছিলেন এরদোগান কে হারানোর জন্য। 
মিলিটারি স্টেপ নেওয়া ছাড়া এমন কোনো স্টেপ নেওয়া বাদ রাখেন নি যাতে করে এরদোগান বেকায়দায় পড়ে যায়, এরদোগানের জনপ্রিয়তা কমে যায়, এরদোগান যেনো নির্বাচনে হেরে যায়। এখন এরদোগান তো আর আমাদের দেশের আওয়ামী লীগ আর বিএনপির এর মতো দুর্নীতিবাজ না যে জনগণ তাকে ভোট না দিয়ে হারিয়ে দেবে। 



তাই এরদোগানের জনসমর্থন কমিয়ে দেয়ার জন্য তুরস্কের উপর অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করে। তাতে করে তুরস্কের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তুর্কি মুদ্রা লিরার দাম কমে যায়, দ্রব্যমূল্য অনেক বেড়ে যায়। সাধারণ মানুষ বিশেষ করে দরিদ্র আর মধ্যবিত্তরা অনেক ভোগান্তিতে পড়ে যায়। 
এর ফলে বিগত ৫ টি নির্বাচনে ভরাডুবি হওয়া আতাতুর্কের সিএইচপি এবার সাহস সঞ্চার করে এরদোগান কে হারানোর জন্য সকল সেক্যুলার দল মিলে জোট করা হয়, যেনো মুদ্রাস্ফীতি আর দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধি এবং ভুমিকম্প ইসু কে কাজে লাগিয়ে এরদোগান কে হারানোর জন্য। 
কিন্তু সব ষড়যন্ত্র নস্যাত করে দিয়ে অবশেষে বিগত ৫ টি নির্বাচনের ধারাবাহিকতায় এবারো বিজয়ী হলেন রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। তো এরদোগান কিভাবে এতো কঠিন চাপ থেকে উতরে গেলেন এবং বিরোধী দল কেন এত সহজ সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারলে না সেটাই ব্যাক্ষা করছি।

১. ধর্মীয় স্বাধীনতা: 

এটা সবাই জানে যে কামাল আতাতুর্কের দল ক্ষমতায় থাকতে ইসলাম কে এক প্রকার নিষিদ্ধই করে দিয়েছিল। এরদোগান আসার আগ পর্যন্ত প্রায় দীর্ঘ ৯০ বছর এভাবেই চলছিলো। যদিও এরদোগান ক্ষমতায় আসার আগেও দুই জন এই পদক্ষেপ নিতে চেয়েছিল। আদনান মেন্দিরেস আরবীতে জন প্রচলন করার কারণে তাকে সেনাবাহিনী ক্ষমতাচ্যুত করে ফাঁসি দেয়। এরপর নিজামুদ্দিন এরবাকানো চেষ্টা করেছিলেন ইসলামী বিধি বিধান পুনরায় চালু করার জন্য। কিন্তু তাকেও সেনাবাহিনী ক্ষমতাচ্যুত করে। এরদোগান ক্ষমতায় এসে শুরুতে সেক্যুলার দের সাথে তাল মিলিয়ে চলে শক্তি সঞ্চয় করে পরে একের পর এক ইসলামী বিধানের উপর বিধিনিষেধ তুলে নেয়। এরদোগানের পূর্বের বিভীষিকাময় অভিজ্ঞতার কথা তুরস্কের ইসলামপ্রিয় জনগণ ভুলে যায়নি। আর এই নির্বাচনে এটাই মূলত অন্যতম শক্তিশালী ভূমিকা পালন করেছে।

২. মুসলমানদের ঐক্য এবং সেক্যুলারদের বিভক্তি:

বলা হয়ে থাকে তুরস্কের জনগণের ৫০% ইসলামপন্থি অরে বাকি ৫০% সেক্যুলার। তুরস্কের এই ৫০% ইসলামপন্থীদের প্রায় ৯৫% এরদোগান কে ভোট দিয়ে থাকেন। অর্থাৎ তুরস্কের মুসলিমদের মধ্যে বিভক্তি কম বরং ঐক্যই বেশি। অন্য দিকে তুরস্কে সেক্যুলারদের মধ্যে বিভিন্ন দলের বিভক্তি আছে। এবং একেক দলের ভোট ব্যাংক আলাদা। যে কারণে কোন সেক্যুলার দল এককভাবে কখনো সকল সেক্যুলার দের ভোট পায় না। অর্থাৎ সেক্যুলা দের ভোট ভিন্ন ভিন্ন সেক্যুলার দলে বিভক্ত।

৩. তুর্কি জাতীয়তাবাদ প্রতিষ্ঠা: 

এরদোয়ান তুর্কি জাতীয়তাবাদ প্রতিষ্ঠা করে তুর্কি দের মধ্যে ইউরোপিয়ানদের থেকে আলাদা থাকার একটা ভিত্তি তৈরী করে দিয়েছিলেন। এর আগে তুর্কি দের কোনো কনফিডেন্স ছিলো না। এর আগে অধিকাংশ তুর্কি ভাবত যে তাদের নিজেদের আলাদা জাতি সত্তা বোধ বলে কিছু নেই। ইউরোপিয়ানরা যা বলবে সেটাই সেটাই তাদের জন্য আদর্শ। কিন্তু এরদোগান তুর্কি জাতীয়তাবাদ প্রতিষ্ঠা করে ইউরোপিয়ান গোলামী করার মানুষিকতা বাদ দিয়ে একটি আত্মমর্যাদা সম্পন্ন জাতি হিসেবে তুর্কিদের প্রতিষ্ঠিত করেছেন। যেখানে বিরোধী দল ইউরোপিয়ান দের গোলামী করার নীতিতে বিশ্বাসী যেটা তুরস্কের অধিকাংশ মানুষ পছন্দ করে না।

৪. সামরিক শিল্পের উন্নয়ন এবং তরুন ভোটার দের আকৃষ্ট করা: 

এরদোগান তুরুস্কের সামরিক শিল্প কে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। প্রতিনিয়ত নতুন নতুন অত্যাধুনিক অস্ত্র ড্রোনে জঙ্গিবিমান জলযান আবিষ্কারের মাধ্যমে তিনি তুরস্ক কে একটি শক্তিশালী দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। আর নির্বাচন কে সামনে রেখেও তিনি আগামীর জন্য আরো উন্নত সমরাস্ত্র প্রদর্শন করেছেন। যা দেখে তুরস্কের তরুণ ভোটাররা আকৃষ্ট হয়েছেন। অন্যদিকে বিরোধী দল বলেছেন যে তুরস্কের সকল সমরাস্ত্র এগুলো সব নকল, প্লাস্টিকের আর তুরস্কের শক্তিশালী সমরাস্ত্রের কোনো প্রয়োজন নেই। যেটা তুরস্কের তরুণ জনগণ ভালোভাবে নেয়নি। কেননা তুরস্কের তরুণ ভোটাররা তুরস্ক কে একটি শক্তিশালী দেশ হিসেবে দেখতে চান। বিরোধী দলের সামরিক দিক দিয়ে অনিহার কারনে তুরস্ককে শক্তিশালী অবস্থানে দেখতে চাওয়া তুরস্কের তরুণ জনগণের মন জয় করতে পারেনি বিরোধী দল।

৫. বিনামূল্যে গ্যাস দেওয়া: 

তুরস্কের নিজ ভূখণ্ডে পাওয়া প্রাকৃতিক গ্যাস এরদোগান বিনামূল্যে সে দেশের মানুষকে দেন। যেটা তার জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে সমর্থ হয়। অন্যদিকে ফ্রি গ্যাস দেওয়া নিয়েও বিরোধী দল আপত্তিকর বক্তব্য দেয়। বিরোধী দল দাবি করে যে দেশে কোন গ্যাস ক্ষেত্র পাওয়া যায়নি। এগুলো রাশিয়ান গ্যাস। রাশিয়া এরদোগান কে ক্ষমতায় রাখার জন্য এই গ্যাস দিয়েছেল। আর এটাও সে দেশের মানুষ ভালোভাবে নেয়নি।

৬. দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সাথে সামঞ্জস্য রেখে বেতন বৃদ্ধি: 

তুরস্কে দ্রব্যমূল্য অনেক বেড়েছে এটা সত্য কিন্তু এরদোগান তো বসে থাকার মানুষ নয়। এরদোগান দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সাথে সাথে বিভিন্ন সময় সরকারি চাকুরিজীবীদের বেতন বাড়িয়েছে। আর তুরস্কের আইন হলো সরকারি চাকুরিজীবীদের বেতন বাড়লে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বেতন একই হারে বাড়াতে হবে। আর নির্বাচনের ঠিক ৫ দিন আগে তিনি সরকারি চাকুরিজীবীদের প্রায় ৪৫% বেতন বাড়িয়ে দেন। ফলে বেসরকারি চাকরিতেও বেতন বাড়ছে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সাথে সামঞ্জস্য রেখে প্রতিনিয়ত বেতন বাড়ানোর জন্য তুরস্কের মানুষের দুর্ভোগ অনেকটাই কমেছে। অন্যদিকে বিরোধী দল অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য বিশেষ কোনো পথ দেখাতে পারেনি। যা দিয়েছে সেগুলোও অবাস্তব, যা তুরস্কের মানুষ বিশ্বাস করেনি। যেমন কেমাল বলেছে ক্ষমতায় এলে মাত্র ছয় মাসের মধ্যে তুরস্কের মানুষদেরকে ইউরোপীয়ান দেশে বিনামূল্যে ভ্রমনের ব্যবস্থা করবে। যেটা অকল্পনীয়। 

৭. বিচ্ছিন্নতাবাদী কুর্দিদের দমন:

এরদোগান ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বিচ্ছিন্নতাবাদী কুর্দিদের দমন করে আসছেন, যেখানে বিরোধী দল কুর্দি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সাথেই বেশি খাতির লাগিয়েছেন যেটা তুরস্কের জনগণ ভালোভাবে নেয়নি। এমনকি কুর্দি বিচ্ছিন্নতাবাদী দলের পাশে থাকার প্রতিশ্রতি দেওয়ার ভিডিও ভাইরাল হয় যা গোটা তুরস্কে ব্যাপক নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার জন্ম দেয় এবং বিরোধী দল কে ব্যাকফুটে ঠেলে দেয়।

৮. পশ্চিমা মিডিয়ার এরদোগান বিরোধী প্রচারণা: 

তুরস্কের অধিকাংশ মানুষ আমেরিকা সহ পশ্চিমাদের পছন্দ করে না। আর পশ্চিমা মিডিয়া শুরু থেকে এরদোগানের বিরুদ্ধে তথ্য সন্ত্রাস চালালে তুরস্কের জনগণ বুঝতে পারে যে পশ্চিমারা তুরস্কের ভালো চায় না তারই যদি এরদোগানের বিরোধিতা করে তাহলে এর্দোগানই তুরস্কের প্রকৃত শাসক।

৯. ভূমিকম্প পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলাঃ 

এবারের ভুমিকম্পকে সেক্যুলারগন আশির্বাদ হিসেবে মনে করেছিল। তারা ভেবেছিল যে এরদোয়ান ভুমিকম্প পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতি সামাল দিতে পারবে না। আর তাই এরদোয়ান কে চাপে ফেলে সহজেই হারিয়ে দেওয়া যাবে। কিন্তু এরদোয়ান খুব দ্রুততম সময়ে অসংখ্য বাড়ি নির্মান শেষ করে ভুমিকম্পে বাড়ি হারানো মানুষের হাতের নতুন বাড়ির চাবি বুঝিয়ে দেন। যার ফলাফল একদম নগদে। অর্থাৎ ভুমিকম্প কবলিত এলাকার প্রায় সব জায়গায় এরদোয়ান জিতেছে। যা পশ্চিমা এবং সেক্যুলারদের বিস্মিত করেছে।

সার্বিকভাবে এরদোগান অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে জয় ছিনিয়ে আনলেন। জো বাইডেন অনেক চেষ্টায় করেছিলেন। কিন্তু সফল হলেন না। আর এরদোগানের এই জয় মুসলিম উম্মার এক নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত করেছেন।
আগামীতে আমেরিকার একমুখি বিশ্ব ব্যবস্থা চূড়ান্তভাবে হুমকিতে পড়লো। চীন রাশিয়ার সাথে মুসলিম বিশ্বের পাওয়ারফুল দেশ হিসেবে তুরস্কের যোগদান করে সেটা আরো ভিন্ন মাত্রা যোগ করবে। তখন আমেরিকার সাথে চীন রাশিয়ার দ্বন্দ্ব আরো বাড়বে। অন্যদিকে মধ্য প্রাচ্যের আরব দেশগুলো ও এরদোগানের সাথে চলতে আগ্রহী। আশা করি এরদোগান আরব দেশগুলো সাথেও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি করবেন। 

শনিবার, ৯ জানুয়ারী, ২০২১

হিজড়া সন্তান কেন হয়? পবিত্র কোরআন ও বিজ্ঞান এ সম্পর্কে কি ব্যাখ্যা দিচ্ছে?? চলুন জেনে নেই ---

অনেক সময় দেখা যায় হিজড়া সন্তানের জন্ম হয়েছে।


এর কি কোনো বিশেষ কারণ রয়েছে? অর্থাৎ কোনো বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা? চলুন জেনে নিই,

হিজড়া জন্ম হওয়ার কারণ :

হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেছেনঃ হিজড়ারা জীনদের সন্তান। কোন এক বাক্তি আব্বাস (রাঃ) কে প্রশ্ন করেছিলেন এটা কেমন করে হতে পারে।

জবাবে তিনি বলেছিলেন আল্লাহ্ ও রাসুল (সাঃ) নিষেধ করেছেন যে মানুষ যেন তার স্ত্রীর মাসিক স্রাব চলাকালে যৌন সংগম না করে”, সুতরাং কোন মহিলার সঙ্গে তার ঋতুস্রাব হলে শয়তান তার আগে থাকে এবং সেই শয়তান দারা ঐ মহিলা গর্ববতী হয় ও হিজড়া সন্তান প্রসব করে।

(মানুষ ও জীন এর যৌথ মিলনজাত সন্তানকে ইসলাম এ বলা হয় খুন্নাস”)

প্রমানসুত্রঃ সূরা বানী ইস্রাইল- আর রাহমান -৫৪, ইবনে আবি হাতিম, হাকিম তিরমিজি।

বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যায়ঃ দেখা যায় XX প্যাটার্ন ডিম্বানুর সমন্বয়ে কন্যা শিশু আর XY প্যাটার্ন থেকে সৃষ্ট হয় ছেলে শিশু। ভ্রুনের পূর্ণতার স্তরগুলোতে ক্রোমোজোম প্যাটার্নের প্রভাবে ছেলে শিশুর মধ্যে অন্ডকোষ আর কন্যা শিশুর মধ্য ডিম্ব কোষ জন্ম নেয়। অন্ডকোষ থেকে নিসৃত হয় পুরুষ হরমোন এন্ড্রোজেন এবং ডিম্ব কোষ থেকে নিসৃত হয় এস্ট্রোজেন।

এক্ষেত্রে ভ্রুনের বিকাশকালে নিষিক্তকরণ ও বিভাজনের ফলে বেশকিছু অস্বাভাবিক প্যাটার্নের সৃষ্টি হয় যেমন XXY অথবা XYYএর ফলে বিভিন্ন গঠনের হিজড়া শিশুর জন্ম হয়।

একটা ব্যাপার হল, একটি হিজড়া শিশুকে পরিণত বয়সে যাওয়ার আগে যদি যথযথ মেডিকেল ট্রিটমেন্ট করা হয় তাহলে বেশীভাগ ক্ষেত্রেই তাকে সুস্থ করা সম্ভব।

কিন্তু যখন বোঝা যায় সে সাধারণ আর দশজনের থেকে আলাদা তখন আসলে অনেক দেরী হয়ে যায়। একইভাবে কোন পুরুষ বা নারীও হিজড়া হতে পারেন।

কেন সন্তান হিজড়া হয়?

হিজড়াদের সাথে আমরা কম বেশী সবাই পরিচিত। কিছু মানুষ হিজড়াদের সাথে মজা করতে পছন্দ করে, কেউ আবার এড়িয়ে চলে। নারীদের ক্ষেত্রে তারা হিজড়াদের রীতিমত ভয় পায় বিশেষ করে তাদের অশোভন আচরণ এর কারণে। হিজড়ারা মূলত সমাজে স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে না পেরে নিজেরা আলাদা সমাজ গড়ে তোলে।

পরে সমাজ তাদেরকে বঞ্ছিত করেছে স্বাভাবিক জীবন থেকে এই ধারণা থেকে এসব অশোভন আচরণ করে থাকে। হিজড়াদের সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি না। অনেকে আবার ভুল ধারণা পোষন করি। আসুন আজ জেনে নেব হিজরা হওয়ার কারণ সম্পর্কে। হিজড়া কি? কেন হিজড়া হয়? হিজড়া কত প্রকার? হিজড়ার কি চিকিৎসা সম্ভব? ইত্যকার নানা বিষয়।

হিজড়া শব্দটি এসেছে আরবী হিজরত বা হিজরী শব্দ থেকে যার আভিধানিক অর্থ পরিবর্তন বা Migrate বা Transfer হিজড়াশব্দটির আভিধানিক অর্থ উভয় লিঙ্গ (Common Gender), ইংরেজীতে একে ট্রান্সজেন্ডার (Transgender) বলা হয়।

যদি সহজে বুঝতে চান হিজড়া কি তাহলে এতটুকু বুঝুন যে, একজন মানুষ যার শরীরটা পুরষের আর মনটা নারীর অথবা মনটা পুরুষের আর শরীরটা নারীর। অবশ্য এই ২ প্রকার হিজরা ছাড়াও আরো ৪ রকমের হিজড়া রয়েছে।

হিজড়া কেন হয়?

মানুষ যেমন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হয়, শ্রবণ প্রতিবন্ধী হয় তেমনি যৌন প্রতিবন্ধিও হতে পারে। হিজড়ারা হচ্ছে যৌন প্রতিবন্ধী। বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যায় বলা হয়। মানুষের ২৩ জোড়া ক্রোমোজোম তার আকৃতি প্রকৃতি ঠিক করে। এর মধ্যে ২২ জোড়া ঠিক করে একটি শিশুর তাবৎ বৈশিস্ঠ্য আর একজোড়া বা ২টি ক্রোমোজোম ঠিক করে শিশু ছেলে না মেয়ে হবে।

সে একজোড়া ক্রোমোজোম বাবার কাছ থেকে আসে XY আর মায়ের কাছ থেকে আসে XXএই এক্স ও ওয়াই এর কম্বিনেশান জটিলতার কারণে শিশু হিজড়া হয়।

XX প্যাটার্ন ক্রোমোজমে কন্যা শিশু আর XY প্যাটার্ন ক্রোমোজমে সৃষ্ট হয় ছেলে শিশু। অর্থাৎ, X এর সঙ্গে X এর মিলনে মেয়ে বা xx এবং X এর সঙ্গে Y এর মিলনে ছেলে সন্তান বা XY জন্ম নেয়। এবং ভ্রুনের পূর্ণতার স্তরগুলোতে ক্রোমোজোম প্যাটার্নের প্রভাবে ছেলে শিশুর মধ্যে অন্ডকোষ আর কন্যা শিশুর মধ্য ডিম্ব কোষ জন্ম ।

এক্ষেত্রে ভ্রুনের বিকাশকালে নিষিক্তকরণ ও বিভাজনের ফলে বেশকিছু অস্বাভাবিক প্যাটার্নের সৃষ্টি হতে পারে যখনি এমনটা হয় তখনি শিশুর লিঙ্গ জনিত সমস্যার সৃষ্টি হয়। সে হয়তো সঠিক লিঙ্গ পায়না, অথবা পুরুষ লিঙ্গ পেয়েও পুরুষত্ব পায়না আবার নারী লিঙ্গ পেয়েও নারীত্ব পায়না।

তখন এক্স ও ওয়াই এর কম্বিনেশান স্বাভাবিক হয়না, যেমন XXY অথবা XYYবা XYX বা YXY এর ফলে বিভিন্ন গঠনের হিজড়া শিশুর জন্ম হয়। ভ্রুনের পূর্ণতার স্তরগুলোতে ক্রোমোজম গঠ‌নের প্রভাবে ছেলে শিশুর মধ্যে অন্ডকোষআর কন্যা শিশুর মধ্য ডিম্বকোষজন্ম নেয়। অন্ডকোষ থেকে নিসৃত হয় পুরুষ হরমোন এন্ড্রোজেন এবং ডিম্বকোষ থেকে নিসৃত হয় এস্ট্রোজেন। এক্ষেত্রে ভ্রুনের বিকাশকালে নিষিক্তকরণ ও বিভাজনের ফলে বেশকিছু অস্বাভাবিক গঠ‌নের সৃষ্টি হয়। যেমন, XXY অথবা XYYএর ফলে বিভিন্ন গঠনের হিজড়া শিশুর জন্ম হয়।

হিজড়া এর প্রকারভেদ

আধুনিক জেনেটিক্স বা চিকিৎসাবিজ্ঞানের মতে হিজড়া হলো সেক্র ক্রোমোজমের ত্রুটিপূর্ণ বিন্যাস (Chromosomal Aberration) বা জিন জনিত জন্মগত যৌন প্রতিবন্ধি ব্যাক্তি যাদের জন্ম পরবর্তী সঠিক লিঙ্গ নির্ধারণে জটিলতা দেখা দেয়।

প্রাকৃতিক ভাবে চার ধরনের হিজড়া হলেও আজকাল অসৎ উদ্দেশ্যে নারী পুরুষদের অপারেশন ও হরমোণ পরিবর্তণ করে হিজড়া বানানো হয়।

এদের প্রধান সমস্যা গুলো হল এদের লিঙ্গে নারী বা পুরূষের নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য থাকে না। কারো কারো ক্ষেত্রে দেখা যায় লিঙ্গ নির্ধারক অঙ্গ থাকে না। এসবের উপর নির্ভর করে তাদেরকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা যায।মূলত এটি একটি শারীরিক গঠনজনিত সমস্যা যা অন্যান্য প্রতিবন্ধীদের মতই কিন্তু প্রতিবন্ধকতার স্থানটি ভিন্ন হওয়াতেই তারা হিজড়া।

হিজড়াদের শারীরিক গঠন মূলত ৪ প্রকার। কিছু হিজড়া হলো যাদের মধ্যে নারী নারী জননাঙ্গ থাকে না। আবার কিছু হিজড়া হলো যাদের পুরুষের সকল বৈশিষ্ট্য থাকা সত্বেও পুরুষ জননাঙ্গ থাকে না। এছাড়া কিছু হিজড়ার উভয় বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। কারো কোনোটাই থাকেনা। আর শারীরিক ও মানসিক গঠনের উপর নির্ভর করে এদেরকে ৬ ভাগে ভাগ করা যায়।

শারীরিক ভাবে পুরুষ কিন্তু মানষিক ভাবে নারী বৈশীষ্ট্য এর অধীকারী হিজড়াদের বলা হয় অকুয়া, ঠিক বিপরীত হিজড়াদের বলা হয় জেনানা, আর মানুষের হাতে সৃষ্ট বা ক্যাসট্রেড পুরুষদের বলা হয় চিন্নি।

যদি কোন হিজরা নারী পুরুষাঙ্গের অধিকারী হয় আর সন্তান উৎপাদনে সক্ষম হয় তবে এদের নারী ধরা হয়। ইসলামে হিজড়াদের অস্তিত্ব স্বীকার করা হলেও গোপনাঙ্গের ধর‌ণের ভি‌ত্তি‌তে হিজড়া‌দের নারী অথবা পুরুষের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলা হয়েছে।

সেই অনুযায়ীই তা‌কে পর্দা, নামায, রোযা পালন করতে হবে, এমনকি সে মোতাবেক সম্পদের ভাগ ভাটোয়ারা করে দেয়া হয়েছে। যদিও আমাদের সমাজে হিজড়াদের পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করা হয়।

আশার কথা

হিজড়া বৈশিষ্ট্য নিয়ে জন্মানো কোন শিশুর যদি পরিনত বয়সে যাওয়ার আগে চিকিৎসা করা হয় তাহলে বেশীভাগ ক্ষেত্রেই তাকে সুস্থ করা সম্ভব। কিন্তু যখন আসলে বোঝা যায় সে সাধারন আর দশজনের থেকে আলাদা তখন আসলে অনেক দেরী হয়ে যায়। এছাড়াও জ‌ন্মের পর বাড়ন্ত সম‌য়ে শিশুর যখন অস্বাভা‌বিকতা বা হিজড়ার বৈ‌শিষ্ট্য প্রকাশ পায়; তাহ‌লে তৎক্ষণাৎ পরিণত বয়সে যাওয়ার আগে যদি স‌ঠিক মেডিকেল ট্রিটমেন্ট করা হয় তাহলে বেশীভাগ ক্ষেত্রেই তাকে সুস্থ করা সম্ভব।

স‌ঠিক অপারেশনের মাধ্যমে হিজড়া‌দের লিঙ্গ সমস্যার সমাধান সম্ভব। মুস‌লিম রাষ্ট্র ইরা‌নে সরকা‌রি উ‌দ্যো‌গে, অপা‌রেশ‌নের মাধ্য‌মে হিজড়া‌দের পূনর্বাস‌নের ব্যবস্থা করা হয়। হিজড়া সম্প্রদায় সৃ‌ষ্টির সেরা জীব বা আশরাফুল মাখলুকাতের অন্তর্ভুক্ত। অর্থাৎ মানু‌ষের পর্যায়ভুক্ত, তারাও সৃষ্টির সেরা। তাদের অবজ্ঞা করা মানে আল্লাহর সৃষ্টিকেই অবজ্ঞা করা।

হিজড়াদের নিয়ে রাসুল (স) এর হাদীস রয়েছে। একজন হিজড়া পবিত্র ক্বাবাঘরের খাদেম এর দায়িত্ব পালন করেছেন বলে শোনা যায়। ভারতে হিজড়ারা ভাতাসহ নানা সুবিধা পায়। পায় একটি সংসদ সদস্যপদ। বাংলাদেশে হিজড়ারা দীর্ঘদিনে আন্দোলন করে ভোটাধিকার এবং তৃতীয় লিঙ্গের নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।

সরকার তাদেরকে চাকরী বাকরী দেয়ার কথা ভাবছে। তবে তাদের জন্য সবচেয়ে বেশী যেটা প্রয়োজন সেটা হলো শিক্ষা। সঠিক শিক্ষায় শিক্ষিত করতে পারলে তারা নিজেরাই তাদের অধিকার এবং কাজ খুঁজে নেবে।

কিন্তু দু:খের বিষয় হলেও সত্য যে, এদের মধ্যে কিছু লোক হিজড়াদের দিয়ে চাঁদাবাজী করানোর জন্য তাদেরকে বাইরের লোকদের সাথে মিশতে এবং শিক্ষা গ্রহণ করতে দিতে চায়না।

মঙ্গলবার, ৩ নভেম্বর, ২০২০

কীভাবে ল্যাপটপ/কম্পিউটারের যত্ন নেয়া যায়?

এটির আসল উত্তর ছিল: ল্যাপটপের যত্ন নিতে হয় কীভাবে?


আপনি জানেন কি? বেশিরভাগ সময় আপনি নিজেই নিজের ল্যাপটপ ধ্বংস করার জন্য প্রধান দায়ী হয়ে থাকেন?

এই দুনিয়ার কোন কিছুই চিরস্থায়ী নয়, আর ইলেকট্রনিক জিনিষের তো আরো বেশি করে ভরসা নেই। কিন্তু ঠিকঠাক মতো ইউজ করলে আপনার ল্যাপটপ আরো কয়েক বছর বেশি স্থায়ী হতে পারে। আপনার ল্যাপটপ যদি সময়ের আগেই নষ্ট হওয়ার সিগন্যাল দিতে শুরু করে তাহলে বুঝবেন, আপনার নিজের অজান্তেই কিছু সমস্যা রয়েছে। সঠিক অভ্যাস তৈরি করে ল্যাপটপ ইউজ করলে ল্যাপটপের আয়ু বাড়ানো সম্ভব হবে।

ফ্ল্যাট সার্ফেসে ল্যাপটপ ইউজ করুন

অনেকেই কোলে নিয়ে ল্যাপটপ ইউজ করেন, অনেকেই রয়েছেন যারা বিছানার উপরে ল্যাপটপ ইউজ করেন। এতে ল্যাপটপের ব্যাটারি আয়ু এবং হার্ডওয়্যার আয়ু অনেক গুনে কমে যায়। ল্যাপটপ নরম কোন সার্ফেসে রাখলে এতে ঠিক মতো বায়ু সঞ্চালিত হতে পারে না, কুলিং ফ্যান গুলো ল্যাপটপের হার্ডওয়্যার ঠাণ্ডা করতে পারে না, কেনোনা ভেতরের গরম বাতাস গুলো বাইরে বের হতে পারে না ঠিক মতো।

এভাবে ল্যাপটপের তাপমাত্রা বাড়তে থাকে। ল্যাপটপ যতো গরম হবে প্রসেসর নিজেকে ততোবেশি স্লো করে দেবে ফলে পারফর্মেন্স কমে যাবে। সাথে গরম পরিবেশে ল্যাপটপ ব্যাটারির সম্পূর্ণ বারো বেজে যাবে। বেস্ট সলিউশন হচ্ছে সবসময় ফ্ল্যাট এবং শক্ত সার্ফেসে রেখে ল্যাপটপ ইউজ করা। এতে ল্যাপটপের নিচের দিকের বায়ু সঞ্চালনের রাস্তা গুলো ও ভাল কাজ করার সুবিধা পাবে।

ল্যাপটপের জন্য অনেক ডেডিকেটেড স্ট্যান্ড পাওয়া যায়, সেগুলোকে ল্যাপটপ ঠাণ্ডা রাখার জন্য কুলিং ফ্যান সিস্টেম থাকে, এতে ল্যাপটপ গরম হয় না। এরকম ল্যাপটপ স্ট্যান্ড বিভিন্য দামের মধ্যে পাওয়া যায় বাজারে, ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে নানান দামের ল্যাপটপ স্ট্যান্ড কিনতে পাবেন। আমি এই অবহেলা করার ফলে আপনার ল্যাপটপ ব্যাটারি যেখানে পূর্বে ৫-৬ ঘণ্টা ব্যাকআপ প্রদান করতো সেটা এখন ২০ মিনিট ব্যাকআপ দেয়!

ল্যাপটপের ব্যাটারি ০% ডিসচার্জ করবেন না

একটি ব্যাটারি ঠিক কতোবার চার্জ ও ডিসচার্জ হতে পারে তার একটি লিমিট রয়েছে। আপনি যদি বারবার ০% পর্যন্ত ডিসচার্জ করে ফেলেন তারপরে আবার ১০০% পর্যন্ত চার্জ করেন আপনার ল্যাপটপ ব্যাটারির আয়ু ৫০% বার আরো দ্রুত কমে যাবে। তাছাড়া ল্যাপটপ ব্যাটারি সঠিক চার্জ করার পদ্ধতি নিয়ে আমার ডেডিকেটেড আর্টিকেল রয়েছে, যা এখানে চেক করতে পারেন।

ল্যাপটপ অন করতে না করতেই ইউজ করা শুরু করবেন না

আপনার উইন্ডোজ ল্যাপটপ অন করলেন, পিসি আপনাকে ওয়েক্যাল ম্যাসেজ শো করলো, কিন্তু এর মানে এটা নয় পিসি ইনস্ট্যান্ট ইউজের জন্য রেডি হয়ে গেছে। কিছুটা সময় নিয়ে অপেক্ষা করা উচিৎ, অন্তত যতোক্ষণ মাউস পয়েন্টার থেকে বিজি আইকন সরে না যায়।

ল্যাপটপ অন হওয়ার সাথে সাথেই অনেক বড় কাজের চাপ চাপিয়ে দিলে ল্যাপটপ সেগুলোকে ঠিক মতো প্রসেস করতে পারবে না। কেনোনা সিস্টেম রান করতে প্রসেসরকে প্রথমেই অনেক কাজ করতে হচ্ছে এর মধ্যে নতুন টাস্ক প্রসেসর হ্যান্ডেল করতে নাও পরে, যদি এক্কেবারে সুপার হাই কনফিগ ল্যাপটপ হয় সে কথা আলাদা! এই ভুল করার মাধ্যমে ল্যাপটপ বা অপারেটিং সিস্টেম হ্যাং হয়ে যেতে পারে আর সাথে সফটওয়্যার বা অপারেটিং সিস্টেম নিজেই ক্র্যাশ করতে পারে।

চার্জে লাগিয়েই বেশিক্ষণ ল্যাপটপ ইউজ করলে ব্যাটারি খুলে নিন!

অনেকেই রয়েছেন, যারা ল্যাপটপ বাসাতেই বেশি ইউজ করেন, সেক্ষেত্রে চার্জার সর্বদা প্লাগ করা থাকে ল্যাপটপের সাথে। এতে ব্যাটারি আয়ু কমে যায়। হ্যাঁ, আপনার ল্যাপটপ ব্যাটারিতে ওভার চার্জ প্রোটেকশন রয়েছে, কিন্তু অনেক বেশি সময় ধরে চলা হিট থেকে আপনার ব্যাটারি ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে।

যদি ল্যাপটপ বাসায় চার্জে প্ল্যাগ করেই বেশি ইউজ করেন, সেক্ষেত্রে বলবো ব্যাটারি ৬০-৭০% চার্জ হওয়ার পরে খুলে রেখে দিন। খুলে রাখবেন কোথায় জানেন তো? বেস্ট জায়গা হচ্ছে ফ্রিজের মধ্যে রেখে দেওয়া। ডীপ ফ্রিজে নয় জাস্ট নর্মাল ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন। রাখার পূর্বে অবশ্যই ভালো কোন পলিথিন দিয়ে ব্যাটারিটি প্রটেক্ট করে নিতে পারেন, এতে ফ্রিজের পানি থেকে ব্যাটারি দূরে থাকবে! এভাবে বহুদিন ল্যাপটপের ব্যাটারি ভালো রাখা যেতে পারে!

অপারেটিং সিস্টেমকে যত্নে রাখুন

আপনার ল্যাপটপকে ঠিকঠাক রাখার জন্য যে কাজ গুলো গুরুত্বপূর্ণ সেগুলো একটি ভালো অভ্যাস তৈরি করুন। অপ্রয়জনিয় সফটওয়্যার ইন্সটল করা থেকে বিরত থাকুন। যদি সিস্টেমে অকাজের সফটওয়্যার ইন্সটল করা থাকে সেগুলোকে আনইন্সটল করে দিন। নিয়মিত রেজিস্ট্রি ক্লিন করুন, টেম্পোরারি ফাইল গুলো রিমুভ করুন, এসএসডিতে বেশি ডাটা রীড-রাইট করা থেকে বিরত থাকুন। ভালো অ্যান্টিভাইরাস এবং অ্যান্টিম্যালওয়্যার প্রোগ্রাম ইউজ করুন, সেগুলোকে নিয়মিত আপডেটেড রাখুন।

সাথে আপনার উইন্ডোজকে আপডেটেড রাখুন, ভুল করেও আপডেট বন্ধ করে রাখবেন না। যদি উইন্ডোজ ডিফেন্ডার ইউজ করেন সেক্ষেত্রে সেটাকে সব সময় আপডেটেড রাখুন। যদি সম্ভব হয় শুধু অরিজিনাল ড্রাইভার সফটওয়্যার ইউজ করুন। পিসির ড্রাইভার গুলোকে আপডেটেড রাখুন, ক্র্যাক বা প্যাচ করা সফটওয়্যার ইউজ করা থেকে বিরত থাকুন এবং নিয়মিত ভাইরাস ও ম্যালওয়্যার স্ক্যান করুন।

সরাসরি রোদে ল্যাপটপ ইউজ করবেন না

অনেক সময় ল্যাপটপ বাইরে ইউজ করার দরকার পরতে পারে, কিন্তু সেটাকে সরাসরি রোদে রেখে ইউজ করা উচিৎ নয়। এতে আপনার পিসি অনেক দ্রুত গরম হয়ে যাবে ফলে ব্যাটারি লাইফ কমে যাবে ও পারফর্মেন্স ডাউন হয়ে যাবে। এমন জায়গায় ল্যাপটপ রাখবেন না যেখানে অনেক ধুলো রয়েছে, এতে ল্যাপটপের বায়ু সঞ্চালনের পথে ধুলো ময়লা ল্যাপটপে প্রবেশ করতে পারে।

সরাসরি সূর্যের আলো ল্যাপটপের স্ক্রীনে লাগতে দেবেন না, এতে ল্যাপটপ স্ক্রীন নষ্ট হয়ে যেতে পারে। সূর্যের আলোতে সরাসরি ল্যাপটপ স্ক্রীন এক্সপোজ করলে বেশির ভাগ সময়ই স্ক্রীনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। আর হ্যাঁ ল্যাপটপ স্ক্রীন মোছার সময়ে যেকোনো কাপড় বা টিস্যু পেপার ইউজ করবেন না। এতে ল্যাপটপের স্ক্রীনের উপরে দেওয়া কোটিং নষ্ট হয়ে যেতে পারে। শুধু বাইরে নয়, বাসার মধ্যেও এমন জানালার পাশে ল্যাপটপ রাখবেন না যেখানে রোদের তীব্রতা রয়েছে ল্যাপটপ স্ক্রীন পরিষ্কার করার জন্য মাইক্রো ফাইবার কাপড় ইউজ করুন।

 

সোমবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২০

আইফোনের এত দাম কেন? আইফোন কি প্রযুক্তি ব্যবহার করে? আইফোন কি এন্ড্রোয়েডের মত নাকি আলাদা?

২০১৬ সালে যখন অ্যাপেল ৭ (আইফোনের ভার্সন) মার্কেটে আসে তার দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল ৬৪৯ মার্কিন ডলার। তার তিন বছর পর যখন অ্যাপেল ফ্লাগসিপ মার্কেটে আসে তার দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে ৫৪%। শুধু কি আইফোনের এতো দাম নাকি অ্যাপেলের যেকোনো প্রোডাক্টের দাম এমন বেশী হয়?

আসলে অ্যাপেল প্রোডাক্টের দাম বাজারের যেকোনো প্রোডাক্টের দামের চেয়ে একটু বেশী, এটা কি শুধুমাত্র অধিক মুনাফা লাভের আশায় নাকি এর পিছনে যুক্তিযোগ্য কোন কারন আছে? আজকে আমরা তা নিয়েই আলোচনা করবো।


অ্যাপেল কোম্পানির আরেকটি প্রোডাক্ট "ম্যাক মিনি" যা কিছুদিন আগে মার্কেটে এসেছে তার দাম ও কিন্তু ৬০% বৃদ্ধি করা হয়েছে। এটা অনস্বীকার্য যে, এতে অ্যাপেল কোম্পানির বিশাল অংকের মুনাফা তৈরি করবে বা করছে। এই মুনাফাই অ্যাপেলকে আমেরিকার প্রথম ট্রিলিয়ন ডলারের প্রতিষ্ঠানের মুকুট এনে দিয়েছে। অ্যাপলের বর্তমান বাজার মূল্য সুইজারল্যান্ডের মোট জিডিপির থেকও বেশী। যাই হোক এখন প্রশ্ন আসে কি এমন জিনিস বা এমন কি আছে অ্যাপলে যা এর প্রোডাক্টগুলো কে এতটা দামি করে দিচ্ছে? আসুন কারনগুলো জানি-

১। ব্রান্ড ভ্যলুঃ অ্যাপলের নিজস্ব ব্রান্ড আছে। আমরা সবাই মোটামুটি এটা জানি যে, কোন প্রোডাক্টের দামের অনেকটা নির্ভর করে তার ব্র্যান্ডের ভ্যালুর উপর। ধরুন আপনি একটি চিকেন ফ্রাই খাবেন, এখন চিকেন ফ্রাই এর মধ্যে এমন কিছু দেয়ার নাই যা দামের পার্থক্য অনেক করে দিবে। তারপরও দেখুন এই চিকেন ফ্রাই এর দাম ব্রান্ড ভেদে কতোটা উঠানামা করে। এটার কারন হচ্ছে ব্রান্ড ভ্যলু বা ব্রান্ড ইমেজ যাকে বলে। এই ব্রান্ড ভ্যলু চাইলেই তৈরি করা বা কিনে নেয়া যায় না। এটা ধিরে ধিরে কাস্টোমারের আস্থা, সার্ভিসের মান ইত্যাদি বিষয়ের উপর নির্ভর করে তৈরি হয়।

২। নান্দনিক ডিজাইনঃ অ্যাপেলের ডিজাইনের জন্য এর অনেকটা দাম নির্ভর করে। আমি কোন কম্পানি কে ছোট করার উদ্দেশ্য থেকে বলছি না, আপনি বাজারের আর ১০ টা মোবাইল দেখবেন যার প্রায় অনেকেই অ্যাপলের ডিজাইন কেই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে তাদের ডিজাইন তৈরি করে বাজারে এনেছে।

৩। কাস্টমার আস্থাশীলতাঃ দেখুন অ্যাপলের এতো দাম হওয়া সত্তেও সবাই কিনার জন্য প্রস্তুত। কারন তাদের মনের মধ্যে একটা আস্থা তৈরি করতে পেরেছে অ্যাপেল, যা অন্য কেউ অ্যাপলের মতো করতে পারে নাই।

৪। বৈশিষ্টে নতুনত্তঃ এখানেো বলতে হয় অ্যাপেলই কোন বৈশিষ্ট প্রথম আনে আর বাকি কম্পানিগুলো তা কপি করার চেষ্টা করে। সেইক্ষত্রে তাকে নতুন নতুন বৈশিষ্ট্য তৈরি এবং তা নতুন প্রডাক্টে যোগ করতে যথেষ্ট খরচের ব্যপার হয় দাড়ায়। আর আইফোনের নতুন সংস্করণে আরো উন্নত প্রযুক্তি যুক্ত করে অ্যাপল। এসব পরিবর্তন উৎপাদন খরচ বাড়িয়ে দেয়। যেমন প্রথম বাজারে ছাড়ার সময় আইফোন এক্সের স্টোরেজ ক্যাপাসিটি ছিল ৬৪ জিবি। আর ১ হাজার ১৪৯ ডলারের আইফোন এক্সের স্টোরেজ ক্যাপাসিটি ছিল ২৫৬ জিবি।

আইফোন ১২ সিরিজের সঙ্গে নতুন 'ম্যাগসেইফ' ফিচারও এনেছে অ্যাপল। ডিভাইসটির পেছনে চুম্বক পাত যোগ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। ফলে ওয়্যারলেস চার্জিং প্যাডে ডিভাইসটি সহজে সঠিক স্থানে বসাতে পারবেন গ্রাহক। আর আইফোনের নতুন মডেলের প্রান্তগুলো আগের মডেলগুলোর তুলনায় অপেক্ষাকৃত তীক্ষ্ণ হবে বলে জানানো হয়েছে।

৫। উন্নত মানের হার্ডওয়্যারঃ অ্যাপেল তার প্রোডাক্টের কুয়ালিটির ব্যপারে এবং তাদের পারফরম্যন্সের ব্যপারে যথেষ্ট সতর্ক। যার কারনে তাদের চেষ্টা থাকে যেন তাদের প্রোডাক্ট সরবচ্চো ভালো পারফর্ম যাতে করে এবং কাস্টমার সন্তোষজনক থাকে। উদাহরণ স্বরূপ, অ্যাপলের ১০৯৯ ডলারের একটা ফোনে ম্যাটেরিয়াল খরচ করা হয় ৪৯০ ডলারের। আমরা যদি একটু পার্থক্য করি, স্যামসাঙ এর সাথে, ৯৯৯ ডলারের ফোনে ম্যাটেরিয়াল খরচ করা হয়ছে ৪২০ ডলারের।


ফাইভ জি নেটওয়ার্কে কাজ করা অ্যাপলের প্রথম হ্যান্ডসেট হতে যাচ্ছে ‘আইফোন ১২’। শুধু তাই নয় আর অনেক চমক নিয়ে বাজারে এলো প্রতিক্ষিত আইফোন ১২। ১৩ অক্টোবর মঙ্গলবার অ্যাপল প্রধান টিম কুক অনলাইন ইভেন্টটি শুরু করেন হোমপড মিনি ডিভাইস উন্মোচনের মধ্য দিয়ে।



যেসব পরিবর্তন আসছে নতুন আইফোনে যা স্বাভাবিক ভাবেই বারিয়ে দিচ্ছে আইফোনের দাম -

চার্জার বিহীন ফোন

এই প্রথম আইফোনের সঙ্গে কোনো চার্জার অথবা হেডফোন দেয়া হচ্ছে না। অ্যাপল জানিয়েছে, পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব কমানোর জন্য এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। অপেক্ষাকৃত বেশি দামী আইফোন ১২ প্রো মডেলে স্ক্রিনটি বড় থাকবে এবং কম আলোয় ছবি তোলার সুবিধার্থে নতুন সেন্সর ব্যবহার করা হবে। ওএলইডি ডিসপ্লেটি নতুন ধরণের পদার্থ দিয়ে সুরক্ষা দেয়া হয়েছে, যেটি সহজে ভাঙবে না

সিরামিক শিল্ড

অ্যাপল জানিয়েছে, আইফোন ১২'তে আগের মডেলগুলোর মত ৬.১ ইঞ্চি (১৫.৫ সেমি) স্ক্রিন রয়েছে, তবে এখন জমকালো রঙয়ের সেটগুলোর জন্য এলসিডি'র বদলে ওএলইডি প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। এর কারণে নতুন আইফোন আগের চেয়ে ১১% বেশি সরু করে তৈরি করা সম্ভব হয়েছে তাদের জন্য।

তারা আরো জানিয়েছে যে নতুন সেটের স্ক্রিন বেশি রেজোলিউশনের এবং এতে ডিসপ্লের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে 'সিরামিক শিল্ড' ব্যবহার করা হয়েছে যার ফলে হাত থেকে পড়ে যাওয়ার হিসেবে আগের চেয়ে 'চার গুণ বেশি' সুবিধা পাওয়া যাবে।

ডেপথ সেন্সর

অপেক্ষাকৃত বেশি দামী মডেলগুলোতে বড় আকারের ডিসপ্লে অন্তর্ভূক্ত করার জন্য সেগুলোকে নতুন করে ডিজাইন করা হয়েছে - আইফোন প্রো'এর স্ক্রিন ৫.৮ ইঞ্চি থেকে ৬.১ ইঞ্চি এবং প্রো ম্যাক্সের স্ক্রিন ৬.৫ ইঞ্চি থেকে ৬.৭ ইঞ্চি। এছাড়াও এই সেটগুলোতে 'লিডার' (লাইট ডিটেকশন অ্যান্ড রেঞ্জিং) স্ক্যানার সংযুক্ত করা হয়েছে। এর ফলে ফোনের আশেপাশের পরিবেশের জন্য একটি ডেপথ ম্যাপ তৈরি হয়, যার ফলে কম আলোতে অটোফোকাস 'ছয় গুণ দ্রুততায়' করা সম্ভব। এছাড়া অগমেন্টেড রিয়েলিটির কাজ করার জন্যও এই সেন্সর ব্যবহৃত হতে পারে, যদিও এই ক্ষেত্রে খুব বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়নি।

ফাইভ জি

স্যামসাং ২০১৯ সালে গ্যালাক্সি এস ১০ ফোন বাজারে ছাড়ে যা ফাইভ জি নেটওয়ার্কে কাজ করে এবং এর পর হুয়াওয়ে, ওয়ান প্লাস ও গুগলও এই ধরণের ফোন বাজারে ছাড়ে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সেসব ফোন সম্পর্কে মানুষের আগ্রহ খুব একটা বেশি নেই।

গবেষণা প্রতিষ্ঠান ফরেস্টারের টমাস হাসন বলেন, অ্যাপল সাধারণত নতুন প্রযুক্তি বাজারে আনে না, তারা একটি প্রযুক্তি পরিপক্ক হওয়ার জন্য অপেক্ষা করে এবং ব্যবহারকারীদের সুবিধার্থে সেই প্রযুক্তির উন্নয়নে কাজ করে।

স্মার্ট স্পিকার

নিজেদের স্মার্ট স্পিকার 'হোমপড মিনি'র একটি নতুন ভার্সনও বাজারে ছেড়েছে অ্যাপল। এটি আরো ব্যাপক পরিসরের ভয়েস কমান্ড সমর্থন করে। পাশাপাশি এটিতে একটি হোম ইন্টারকম সিস্টেমও রয়েছে। অ্যাপলের প্রথম হোমপড ২০১৮ সালে বাজারে ছাড়া হয়, তবে এখন পর্যন্ত অ্যামাজন ও গুগলের স্পিকারের তুলনায় এটি অনেক পিছিয়ে রয়েছে।

এবার আপনিই বলুন দাম কি খুব বেশী নেয়া হচ্ছে? 
একবার ব্যবহার করেই দেখুন না, কেন অ্যাপেলকে বেশী দাম দিচ্ছেন। 


কোন কোন সাপ একেবারেই নিরীহ, অর্থাৎ বিষহীন?

বিষহীন সাপ

ঘরচিতি, কালনাগিনী, দাঁড়াশ, লাউডগা, তুতুর, লালবাড়ি বোড়া, বেত আছড়া, অজগর, জলঢোঁড়া, মেটেলি, জলমেটেলি৷

সামুদ্রিক সাপ

চ্যাপ্টা লেজের সামুদ্রিক সাপ ভীষণ বিষধর৷ এই ধরনের সাপ কামড়ালে প্রাণে বাঁচানো মুশকিল৷ এএসভি ইঞ্জেকশন এই সাপের কামড়ে কাজ করে না৷

প্রাথমিক চিকিৎসা

‘RIGHT’ ফর্মুলা মাথায় রাখতে হবে৷ R(Reassurance)–প্রথমে রোগীকে আশ্বস্ত করতে হবে৷ কারণ রোগী খুবই আতঙ্কের মধ্যে থাকেন৷ আতঙ্ক মৃত্যু ডেকে আনতে পারে৷ রোগীকে বোঝান সাপের কামড়ে আক্রান্ত বহু মানুষ চিকিত্সার ফলে বেঁচে উঠেছে৷ আপনি নিশ্চিন্ত থাকুন৷

I(Immobilization)–যত কম নাড়াচাড়া হবে, তত কম হারে বিষ সারা শরীরে ছড়াবে৷ স্কেল বা বাঁশের টুকরো সহ হাতে বা পায়ে (যে অংশে কামড়াবে) কাপড় দিয়ে হাল্কা করে বেঁধে দিন৷ হাত বা পা যাতে তিনি ভাঁজ করতে পারেন তাই এই ব্যবস্থা৷

GH(Go to Hospital)–ফোন করে জেনে নিন আপনার নিকটতম হাসপাতালে এএসভি, নিওস্টিগনিন, অ্যাট্রোপিন এবং অ্যাড্রিনালিন আছে কি না৷ মাথায় রাখবেন, সাপের কামড়ের সম্পূর্ণ চিকিৎসা একটি ব্লক প্রাইমারি হেল্থ সেণ্টারেই সম্ভব৷

T(Tell Doctor For Treatment)–হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসককে সাপের কামড়ের চিকিৎসা করতে বলুন৷ রোগীর কথা জড়িয়ে যাওয়া, নাকি সুরে কথা বলা, চোখের পাতা পড়ে আসা এগুলি লক্ষ্য করতে চিকিৎসককে জানান৷

রুল অফ ১০০

সাপে কামড়ানোর ১০০ মিনিটের মধ্যে ১০০ মিলিলিটার এএসভি শরীরে প্রবেশ করালে রোগী বেঁচে যাবে৷

খেয়াল রাখুন, ডাক্তারকে বলুন

পথে আসার সময় কামড়ের জায়গায় ফোলা কতটা বৃ‌দ্ধি পেয়েছে৷ ঠিক কত সময় আগে রোগী বলছেন যে চোখ বন্ধ হয়ে আসছে৷ কতক্ষণ পর্যন্ত রোগী কথা বলতে পেরেছেন৷

কী করবেন

  • শান্ত থাকবেন
  • কাছাকাছির মানুষজনকে ডাকবেন৷
  • হাতে ঘড়ি বা চুড়ি, বালা থাকলে খুলতে হবে৷
  • ক্ষতস্থান যত সম্ভব স্থির রাখতে হবে৷
  • যত তাড়াতাড়ি সম্ভব হাসপাতালে যেতে হবে৷

কী করবেন না

  • কোনওরকম বাঁধন দেবেন না৷
  • কামড়ের জায়গায় কোনও কেমিক্যাল লাগাবেন না৷
  • কামড়ের স্থানে ঠান্ডা, গরম, বরফ জল দেবেন না৷
  • কেটে চিরে বিষ বের করার চেষ্টা করবেন না৷
  • মনে রাখবেন, সাপ যখন কামড়ায় তার বিষ দাঁতের মাধ্যমে ইঞ্জেকশনের মতো শরীরের ভিতরে চলে যায়৷ বিষ পাম্প বলে একরকম অবৈজ্ঞানিক বস্তু প্রয়োগ করে ভোজবাজি দেখানো হচ্ছে৷ এগুলি সব অর্থহীন৷ উল্টে চন্দ্রবোড়া সাপের কামড়ের পর ক্ষতস্থান চিরলে মারাত্মক রক্তপাত হতে পারে৷
  • রোগী নিজে দৌড়ে বা সাইকেল চালিয়ে আসবেন না৷
  • সাপ ধরে হাসপাতালে আনার দরকার নেই৷

সাপ ঠেকাবেন কীভাবে?

  • বাড়ির চারপাশ পরিচছন্ন রাখুন৷ কার্বলিক অ্যাসিড শরীরে লাগলে ক্ষতি হয় তাই ব্যবহার না করাই ভাল৷ চুনের সঙ্গে ব্লিচিং পাউডার মিশিয়ে ছড়িয়ে দিন৷ এর ঝাঁঝালো গন্ধে সাপ আসে না৷
  • রাতে অবশ্যই বিছানা ঝেড়ে মশারি টাঙিয়ে শোবেন৷ দরজা-জানলার নিচে ফাঁকা জায়গা কাপড় গুঁজে ভরাট করে রাখতে পারেন৷
  • অন্ধকারে হাঁটাচলা করবেন না৷ হাতে লাঠি নিয়ে রাস্তা ঠুকে চলুন৷ হাততালি দিয়ে লাভ নেই, কারণ সাপের কান নেই৷
  • জুতো পরার আগে সেটা ঝেড়ে নিন৷ মাটির বাড়িতে ইঁদুরের গর্ত থাকলে তা বুজিয়ে ফেলু৷৷
  • ধন্যবাদ ৷৷

শনিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০১৯

পবিত্র কুরআনের বিস্ময়কর তথ্য - The wonderful information of the Holy Quran

❤️ পবিত্র কুরআনের বিস্ময়কর তথ্য ❤️


★পুরুষ শব্দটা এসেছে ২৪বার।
★নারী শব্দটি এসেছে ২৪বার।

★আদেশ শব্দটি এসেছে ১০০০বার।
★নিষেধ শব্দটি এসেছে১০০০বার।

★হালাল শব্দটি এসেছে ২৫০বার।
★হারাম শব্দটি এসেছে ২৫০বার।

★জান্নাত শব্দটি এসেছে ১০০০ বার।
★জাহান্নাম শব্দটি এসেছে১০০০বার।

★দুনিয়া শব্দটি এসেছে ১১৫বার।
★আখেরাত শব্দটি এসেছে ১১৫বার।

★ফেরেস্তা শব্দটি এসেছে ৮৮বার।
★শয়তান শব্দটি এসেছে ৮৮বার।

★জীবন শব্দটি এসেছে ১৪৫বার।
★মৃত্যু শব্দটি এসেছে ১৪৫বার।

★উপকার শব্দটি এসেছে ৫০বার।
★ক্ষতিকর শব্দটি এসেছে ৫০বার।

★মানুষ শব্দটি এসেছে ৩৬৮বার।
★রাসূল শব্দটি এসেছে ৩৬৮বার

★জিহ্বা শব্দটি এসেছে ২৫বার।
★উত্তম বাক্য শব্দটি এসেছে ২৫বার।

★মাস শব্দটি এসেছে ১২বার
   আর
★দিন শব্দটি এসেছে ৩৬৫বার।

**সুবহানাল্লাহ! আল্লাহ মহান ।
হে আল্লাহ তুমি জিব্রাইল,মিকাঈল,ইস্রাফিলের রব । 
আসমান ও জমীন সৃষ্টকারী, দৃশ্য ও অদৃশ্য জ্ঞানের অধীকারি । 
তুমিই বান্দাদের বিতর্কিত বিষয়ে ফয়সালা প্রদানকারী । মানুষের বিতর্কিত বিষয়ে আপনি আমাদেরকে সঠিক পথের দিশা দান করুন ।নিশ্চয়ই তুমি যাকে ইচ্ছা কর সঠিক পথের দিশা প্রদান করো । 

You can read more

কোরআন ও হাদিস স্বীকৃত আয়াতে শেফা বা সুস্থ হবার তদবির

সুস্থতা-অসুস্থতা উভয়টিই আল্লাহর নেয়ামত। সুস্থ হলে মানুষ বেশি করে আল্লাহর ইবাদত করতে পারে। শোকর আদায় করে কৃতজ্ঞ হতে পারে। আর অসুস্থ হলে আল্লা...