জানা অজানা লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
জানা অজানা লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

শনিবার, ৯ জানুয়ারী, ২০২১

হিজড়া সন্তান কেন হয়? পবিত্র কোরআন ও বিজ্ঞান এ সম্পর্কে কি ব্যাখ্যা দিচ্ছে?? চলুন জেনে নেই ---

অনেক সময় দেখা যায় হিজড়া সন্তানের জন্ম হয়েছে।


এর কি কোনো বিশেষ কারণ রয়েছে? অর্থাৎ কোনো বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা? চলুন জেনে নিই,

হিজড়া জন্ম হওয়ার কারণ :

হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেছেনঃ হিজড়ারা জীনদের সন্তান। কোন এক বাক্তি আব্বাস (রাঃ) কে প্রশ্ন করেছিলেন এটা কেমন করে হতে পারে।

জবাবে তিনি বলেছিলেন আল্লাহ্ ও রাসুল (সাঃ) নিষেধ করেছেন যে মানুষ যেন তার স্ত্রীর মাসিক স্রাব চলাকালে যৌন সংগম না করে”, সুতরাং কোন মহিলার সঙ্গে তার ঋতুস্রাব হলে শয়তান তার আগে থাকে এবং সেই শয়তান দারা ঐ মহিলা গর্ববতী হয় ও হিজড়া সন্তান প্রসব করে।

(মানুষ ও জীন এর যৌথ মিলনজাত সন্তানকে ইসলাম এ বলা হয় খুন্নাস”)

প্রমানসুত্রঃ সূরা বানী ইস্রাইল- আর রাহমান -৫৪, ইবনে আবি হাতিম, হাকিম তিরমিজি।

বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যায়ঃ দেখা যায় XX প্যাটার্ন ডিম্বানুর সমন্বয়ে কন্যা শিশু আর XY প্যাটার্ন থেকে সৃষ্ট হয় ছেলে শিশু। ভ্রুনের পূর্ণতার স্তরগুলোতে ক্রোমোজোম প্যাটার্নের প্রভাবে ছেলে শিশুর মধ্যে অন্ডকোষ আর কন্যা শিশুর মধ্য ডিম্ব কোষ জন্ম নেয়। অন্ডকোষ থেকে নিসৃত হয় পুরুষ হরমোন এন্ড্রোজেন এবং ডিম্ব কোষ থেকে নিসৃত হয় এস্ট্রোজেন।

এক্ষেত্রে ভ্রুনের বিকাশকালে নিষিক্তকরণ ও বিভাজনের ফলে বেশকিছু অস্বাভাবিক প্যাটার্নের সৃষ্টি হয় যেমন XXY অথবা XYYএর ফলে বিভিন্ন গঠনের হিজড়া শিশুর জন্ম হয়।

একটা ব্যাপার হল, একটি হিজড়া শিশুকে পরিণত বয়সে যাওয়ার আগে যদি যথযথ মেডিকেল ট্রিটমেন্ট করা হয় তাহলে বেশীভাগ ক্ষেত্রেই তাকে সুস্থ করা সম্ভব।

কিন্তু যখন বোঝা যায় সে সাধারণ আর দশজনের থেকে আলাদা তখন আসলে অনেক দেরী হয়ে যায়। একইভাবে কোন পুরুষ বা নারীও হিজড়া হতে পারেন।

কেন সন্তান হিজড়া হয়?

হিজড়াদের সাথে আমরা কম বেশী সবাই পরিচিত। কিছু মানুষ হিজড়াদের সাথে মজা করতে পছন্দ করে, কেউ আবার এড়িয়ে চলে। নারীদের ক্ষেত্রে তারা হিজড়াদের রীতিমত ভয় পায় বিশেষ করে তাদের অশোভন আচরণ এর কারণে। হিজড়ারা মূলত সমাজে স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে না পেরে নিজেরা আলাদা সমাজ গড়ে তোলে।

পরে সমাজ তাদেরকে বঞ্ছিত করেছে স্বাভাবিক জীবন থেকে এই ধারণা থেকে এসব অশোভন আচরণ করে থাকে। হিজড়াদের সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি না। অনেকে আবার ভুল ধারণা পোষন করি। আসুন আজ জেনে নেব হিজরা হওয়ার কারণ সম্পর্কে। হিজড়া কি? কেন হিজড়া হয়? হিজড়া কত প্রকার? হিজড়ার কি চিকিৎসা সম্ভব? ইত্যকার নানা বিষয়।

হিজড়া শব্দটি এসেছে আরবী হিজরত বা হিজরী শব্দ থেকে যার আভিধানিক অর্থ পরিবর্তন বা Migrate বা Transfer হিজড়াশব্দটির আভিধানিক অর্থ উভয় লিঙ্গ (Common Gender), ইংরেজীতে একে ট্রান্সজেন্ডার (Transgender) বলা হয়।

যদি সহজে বুঝতে চান হিজড়া কি তাহলে এতটুকু বুঝুন যে, একজন মানুষ যার শরীরটা পুরষের আর মনটা নারীর অথবা মনটা পুরুষের আর শরীরটা নারীর। অবশ্য এই ২ প্রকার হিজরা ছাড়াও আরো ৪ রকমের হিজড়া রয়েছে।

হিজড়া কেন হয়?

মানুষ যেমন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হয়, শ্রবণ প্রতিবন্ধী হয় তেমনি যৌন প্রতিবন্ধিও হতে পারে। হিজড়ারা হচ্ছে যৌন প্রতিবন্ধী। বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যায় বলা হয়। মানুষের ২৩ জোড়া ক্রোমোজোম তার আকৃতি প্রকৃতি ঠিক করে। এর মধ্যে ২২ জোড়া ঠিক করে একটি শিশুর তাবৎ বৈশিস্ঠ্য আর একজোড়া বা ২টি ক্রোমোজোম ঠিক করে শিশু ছেলে না মেয়ে হবে।

সে একজোড়া ক্রোমোজোম বাবার কাছ থেকে আসে XY আর মায়ের কাছ থেকে আসে XXএই এক্স ও ওয়াই এর কম্বিনেশান জটিলতার কারণে শিশু হিজড়া হয়।

XX প্যাটার্ন ক্রোমোজমে কন্যা শিশু আর XY প্যাটার্ন ক্রোমোজমে সৃষ্ট হয় ছেলে শিশু। অর্থাৎ, X এর সঙ্গে X এর মিলনে মেয়ে বা xx এবং X এর সঙ্গে Y এর মিলনে ছেলে সন্তান বা XY জন্ম নেয়। এবং ভ্রুনের পূর্ণতার স্তরগুলোতে ক্রোমোজোম প্যাটার্নের প্রভাবে ছেলে শিশুর মধ্যে অন্ডকোষ আর কন্যা শিশুর মধ্য ডিম্ব কোষ জন্ম ।

এক্ষেত্রে ভ্রুনের বিকাশকালে নিষিক্তকরণ ও বিভাজনের ফলে বেশকিছু অস্বাভাবিক প্যাটার্নের সৃষ্টি হতে পারে যখনি এমনটা হয় তখনি শিশুর লিঙ্গ জনিত সমস্যার সৃষ্টি হয়। সে হয়তো সঠিক লিঙ্গ পায়না, অথবা পুরুষ লিঙ্গ পেয়েও পুরুষত্ব পায়না আবার নারী লিঙ্গ পেয়েও নারীত্ব পায়না।

তখন এক্স ও ওয়াই এর কম্বিনেশান স্বাভাবিক হয়না, যেমন XXY অথবা XYYবা XYX বা YXY এর ফলে বিভিন্ন গঠনের হিজড়া শিশুর জন্ম হয়। ভ্রুনের পূর্ণতার স্তরগুলোতে ক্রোমোজম গঠ‌নের প্রভাবে ছেলে শিশুর মধ্যে অন্ডকোষআর কন্যা শিশুর মধ্য ডিম্বকোষজন্ম নেয়। অন্ডকোষ থেকে নিসৃত হয় পুরুষ হরমোন এন্ড্রোজেন এবং ডিম্বকোষ থেকে নিসৃত হয় এস্ট্রোজেন। এক্ষেত্রে ভ্রুনের বিকাশকালে নিষিক্তকরণ ও বিভাজনের ফলে বেশকিছু অস্বাভাবিক গঠ‌নের সৃষ্টি হয়। যেমন, XXY অথবা XYYএর ফলে বিভিন্ন গঠনের হিজড়া শিশুর জন্ম হয়।

হিজড়া এর প্রকারভেদ

আধুনিক জেনেটিক্স বা চিকিৎসাবিজ্ঞানের মতে হিজড়া হলো সেক্র ক্রোমোজমের ত্রুটিপূর্ণ বিন্যাস (Chromosomal Aberration) বা জিন জনিত জন্মগত যৌন প্রতিবন্ধি ব্যাক্তি যাদের জন্ম পরবর্তী সঠিক লিঙ্গ নির্ধারণে জটিলতা দেখা দেয়।

প্রাকৃতিক ভাবে চার ধরনের হিজড়া হলেও আজকাল অসৎ উদ্দেশ্যে নারী পুরুষদের অপারেশন ও হরমোণ পরিবর্তণ করে হিজড়া বানানো হয়।

এদের প্রধান সমস্যা গুলো হল এদের লিঙ্গে নারী বা পুরূষের নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য থাকে না। কারো কারো ক্ষেত্রে দেখা যায় লিঙ্গ নির্ধারক অঙ্গ থাকে না। এসবের উপর নির্ভর করে তাদেরকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা যায।মূলত এটি একটি শারীরিক গঠনজনিত সমস্যা যা অন্যান্য প্রতিবন্ধীদের মতই কিন্তু প্রতিবন্ধকতার স্থানটি ভিন্ন হওয়াতেই তারা হিজড়া।

হিজড়াদের শারীরিক গঠন মূলত ৪ প্রকার। কিছু হিজড়া হলো যাদের মধ্যে নারী নারী জননাঙ্গ থাকে না। আবার কিছু হিজড়া হলো যাদের পুরুষের সকল বৈশিষ্ট্য থাকা সত্বেও পুরুষ জননাঙ্গ থাকে না। এছাড়া কিছু হিজড়ার উভয় বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। কারো কোনোটাই থাকেনা। আর শারীরিক ও মানসিক গঠনের উপর নির্ভর করে এদেরকে ৬ ভাগে ভাগ করা যায়।

শারীরিক ভাবে পুরুষ কিন্তু মানষিক ভাবে নারী বৈশীষ্ট্য এর অধীকারী হিজড়াদের বলা হয় অকুয়া, ঠিক বিপরীত হিজড়াদের বলা হয় জেনানা, আর মানুষের হাতে সৃষ্ট বা ক্যাসট্রেড পুরুষদের বলা হয় চিন্নি।

যদি কোন হিজরা নারী পুরুষাঙ্গের অধিকারী হয় আর সন্তান উৎপাদনে সক্ষম হয় তবে এদের নারী ধরা হয়। ইসলামে হিজড়াদের অস্তিত্ব স্বীকার করা হলেও গোপনাঙ্গের ধর‌ণের ভি‌ত্তি‌তে হিজড়া‌দের নারী অথবা পুরুষের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলা হয়েছে।

সেই অনুযায়ীই তা‌কে পর্দা, নামায, রোযা পালন করতে হবে, এমনকি সে মোতাবেক সম্পদের ভাগ ভাটোয়ারা করে দেয়া হয়েছে। যদিও আমাদের সমাজে হিজড়াদের পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করা হয়।

আশার কথা

হিজড়া বৈশিষ্ট্য নিয়ে জন্মানো কোন শিশুর যদি পরিনত বয়সে যাওয়ার আগে চিকিৎসা করা হয় তাহলে বেশীভাগ ক্ষেত্রেই তাকে সুস্থ করা সম্ভব। কিন্তু যখন আসলে বোঝা যায় সে সাধারন আর দশজনের থেকে আলাদা তখন আসলে অনেক দেরী হয়ে যায়। এছাড়াও জ‌ন্মের পর বাড়ন্ত সম‌য়ে শিশুর যখন অস্বাভা‌বিকতা বা হিজড়ার বৈ‌শিষ্ট্য প্রকাশ পায়; তাহ‌লে তৎক্ষণাৎ পরিণত বয়সে যাওয়ার আগে যদি স‌ঠিক মেডিকেল ট্রিটমেন্ট করা হয় তাহলে বেশীভাগ ক্ষেত্রেই তাকে সুস্থ করা সম্ভব।

স‌ঠিক অপারেশনের মাধ্যমে হিজড়া‌দের লিঙ্গ সমস্যার সমাধান সম্ভব। মুস‌লিম রাষ্ট্র ইরা‌নে সরকা‌রি উ‌দ্যো‌গে, অপা‌রেশ‌নের মাধ্য‌মে হিজড়া‌দের পূনর্বাস‌নের ব্যবস্থা করা হয়। হিজড়া সম্প্রদায় সৃ‌ষ্টির সেরা জীব বা আশরাফুল মাখলুকাতের অন্তর্ভুক্ত। অর্থাৎ মানু‌ষের পর্যায়ভুক্ত, তারাও সৃষ্টির সেরা। তাদের অবজ্ঞা করা মানে আল্লাহর সৃষ্টিকেই অবজ্ঞা করা।

হিজড়াদের নিয়ে রাসুল (স) এর হাদীস রয়েছে। একজন হিজড়া পবিত্র ক্বাবাঘরের খাদেম এর দায়িত্ব পালন করেছেন বলে শোনা যায়। ভারতে হিজড়ারা ভাতাসহ নানা সুবিধা পায়। পায় একটি সংসদ সদস্যপদ। বাংলাদেশে হিজড়ারা দীর্ঘদিনে আন্দোলন করে ভোটাধিকার এবং তৃতীয় লিঙ্গের নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।

সরকার তাদেরকে চাকরী বাকরী দেয়ার কথা ভাবছে। তবে তাদের জন্য সবচেয়ে বেশী যেটা প্রয়োজন সেটা হলো শিক্ষা। সঠিক শিক্ষায় শিক্ষিত করতে পারলে তারা নিজেরাই তাদের অধিকার এবং কাজ খুঁজে নেবে।

কিন্তু দু:খের বিষয় হলেও সত্য যে, এদের মধ্যে কিছু লোক হিজড়াদের দিয়ে চাঁদাবাজী করানোর জন্য তাদেরকে বাইরের লোকদের সাথে মিশতে এবং শিক্ষা গ্রহণ করতে দিতে চায়না।

শুক্রবার, ১ জানুয়ারী, ২০২১

অনেক ব্রান্ডের নামের পাশে ছোট করে TM লেখা থাকে, এইটার মানে কী?

অনেক ব্রান্ডের নামের পাশে ছোট করে TM লিখা থাকে। এই TM লিখাটা নিয়ে আমিও ছোটবেলা থেকেই চিন্তা করতাম কিন্তু কখনও জানতে পারি নাই।

কারণ তখন কাওকে জিজ্ঞেসই করা হয়নি। গত বছর এক বড় ভাইয়ের কাছে জানতে পারলাম এই TM মানে কী।TM ছাড়াও অনেক ব্রান্ডের নামের পাশে ছোট করে ® লিখা থাকে।


TM লেখাটির পূর্ণরূপ হলো Trademark(ট্রেডমার্ক)। কোনো ব্রান্ডের নামের পাশে ছোট করে TM লিখা থাকলে বুঝতে হবে নামটি তাদের ব্রান্ডের প্রতীক।

আবার ® লেখাটির মানে হলো Registered Trademark (রেজিস্টারড ট্রেডমার্ক)। 


v

কোনো ব্রান্ডের নামের পাশে ছোট করে ® লিখা থাকলে বুঝতে হবে তাদের ব্রান্ডের প্রতীকটি রেজিষ্ট্রেশনভুক্ত। ফলে অন্য কোনো ব্রান্ড এই প্রতীকটি ব্যবহার করতে পারবেনা। অন্য কোনো ব্রান্ড প্রতীকটি ব্যবহার করলে সেই ব্রান্ডের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।

আশা করি এবার জানতে পেরেছেন কোনো ব্রান্ডের নামের পাশে ছোট করে TM কেন লিখা হয়।

আপনার প্রশ্নের জন্য ধন্যবাদ।

রেসলিংয়ের মারামারি কি বাস্তব নাকি ক্যামেরা ট্রায়াল? যদি ক্যামরার কারসাজি হয়, তবে গ্যালারীর দর্শকরা কী দেখে?

 


ধন্যবাদ Mofazzal Hossain এই প্রশ্নে আমাকে উত্তর দেওয়ার অনুরোধ জানানোর জন্য। আসলে আমাদের জেনারেশন এর ছেলে মেয়ে কেউ একদিন হলেও রেসলিং কিংবা বলা ভালো WWE এর রেসলিং দেখেনি এমনটা পাওয়া যাবে না। অনেকের ঘরের ওয়ালে কিংবা দড়জার আড়ালে হয়ত দেখা যেতে পারে আন্ডারটাইগার, জন সিনা, ত্রিপল হেইচ, দ্যা রক, ব্রক লেসনার অথবা হালের রোমান রেইংস এর পোস্টার। অনেক ছেলে পুলে স্বপ্ন দেখতো বড় হয়ে রেসলার হবে।


তারা একটু বড় হলেই যে ধাক্কাটা খায় সেটা হলো, এই WWE যে আসলে সত্যি না এটা জেনে। প্রশ্ন ছিলো রেসলিংয়ের মারামারি কি বাস্তব নাকি ক্যামেরা ট্রায়াল? যদি ক্যামেরার কারসাজি হয়, তবে গ্যালারীর দর্শকরা কী দেখে?

এর উত্তর হচ্ছে, আপনি কখনো সরাসরি নাচের অনুষ্ঠান দেখেছেন, কিংবা মঞ্চ নাটক? যদি দেখে থাকেন তাহলে আপনি জানেন, অনুষ্ঠানের পারফর্মার রা এর আগে অনেক দিন রিহার্সেল করে আপনার সামনে এসে এই অনুষ্ঠানটি করছে। তেমনি এই WWE এর প্রফেশনাল রেসলার রা কাজ করেন। তাদের সম্পূর্ন অনুষ্ঠানটি পিওরলি মানুষকে আনন্দদানের জন্য করা। স্টোরিলাইন নিজেদের বানানো। অর্থাৎ আপনি হঠাৎ দেখলেন একজন রেসলার আরেকজনের সাথে মারামারিতে লিপ্ত হয়েগেছে কোন কারণ ছাড়াই, অথবা বন্ধু থেকে শত্রু হয়েগেছে। এসবই আসলে এই শো'কে আরো জনপ্রিয় এবং আকর্ষনীয় করার ধান্দা। তারা কি বলবে তাও আগে থেকে স্ক্রিপ্টেড থাকে। তবে হ্যাঁ স্বীকার করতেই হবে তাদের অভিনয় স্কিল হচ্ছে অসাধারণ। তাদের কোরিওগ্রাফীর কাজও অসাধারণ। এই কোরিওগ্রাফী অনেক সময় মারাত্মক হতে পারে। এমন অনেক স্টান্ট আছে যা একটু বেকায়দায় করলে তাদের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। এখানে রিস্ক বেশী বলেই টাকার পরিমান টাও বেশী পান এই রেসলার রা।

তাই প্রশ্নকর্তাকে উত্তর, তাদের দর্শকরা লাইভে তাদেরকে মারামারি করতেই দেখেন যেমনটা আমরা দেখে থাকে।

 

মঙ্গলবার, ৩ নভেম্বর, ২০২০

কীভাবে ল্যাপটপ/কম্পিউটারের যত্ন নেয়া যায়?

এটির আসল উত্তর ছিল: ল্যাপটপের যত্ন নিতে হয় কীভাবে?


আপনি জানেন কি? বেশিরভাগ সময় আপনি নিজেই নিজের ল্যাপটপ ধ্বংস করার জন্য প্রধান দায়ী হয়ে থাকেন?

এই দুনিয়ার কোন কিছুই চিরস্থায়ী নয়, আর ইলেকট্রনিক জিনিষের তো আরো বেশি করে ভরসা নেই। কিন্তু ঠিকঠাক মতো ইউজ করলে আপনার ল্যাপটপ আরো কয়েক বছর বেশি স্থায়ী হতে পারে। আপনার ল্যাপটপ যদি সময়ের আগেই নষ্ট হওয়ার সিগন্যাল দিতে শুরু করে তাহলে বুঝবেন, আপনার নিজের অজান্তেই কিছু সমস্যা রয়েছে। সঠিক অভ্যাস তৈরি করে ল্যাপটপ ইউজ করলে ল্যাপটপের আয়ু বাড়ানো সম্ভব হবে।

ফ্ল্যাট সার্ফেসে ল্যাপটপ ইউজ করুন

অনেকেই কোলে নিয়ে ল্যাপটপ ইউজ করেন, অনেকেই রয়েছেন যারা বিছানার উপরে ল্যাপটপ ইউজ করেন। এতে ল্যাপটপের ব্যাটারি আয়ু এবং হার্ডওয়্যার আয়ু অনেক গুনে কমে যায়। ল্যাপটপ নরম কোন সার্ফেসে রাখলে এতে ঠিক মতো বায়ু সঞ্চালিত হতে পারে না, কুলিং ফ্যান গুলো ল্যাপটপের হার্ডওয়্যার ঠাণ্ডা করতে পারে না, কেনোনা ভেতরের গরম বাতাস গুলো বাইরে বের হতে পারে না ঠিক মতো।

এভাবে ল্যাপটপের তাপমাত্রা বাড়তে থাকে। ল্যাপটপ যতো গরম হবে প্রসেসর নিজেকে ততোবেশি স্লো করে দেবে ফলে পারফর্মেন্স কমে যাবে। সাথে গরম পরিবেশে ল্যাপটপ ব্যাটারির সম্পূর্ণ বারো বেজে যাবে। বেস্ট সলিউশন হচ্ছে সবসময় ফ্ল্যাট এবং শক্ত সার্ফেসে রেখে ল্যাপটপ ইউজ করা। এতে ল্যাপটপের নিচের দিকের বায়ু সঞ্চালনের রাস্তা গুলো ও ভাল কাজ করার সুবিধা পাবে।

ল্যাপটপের জন্য অনেক ডেডিকেটেড স্ট্যান্ড পাওয়া যায়, সেগুলোকে ল্যাপটপ ঠাণ্ডা রাখার জন্য কুলিং ফ্যান সিস্টেম থাকে, এতে ল্যাপটপ গরম হয় না। এরকম ল্যাপটপ স্ট্যান্ড বিভিন্য দামের মধ্যে পাওয়া যায় বাজারে, ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে নানান দামের ল্যাপটপ স্ট্যান্ড কিনতে পাবেন। আমি এই অবহেলা করার ফলে আপনার ল্যাপটপ ব্যাটারি যেখানে পূর্বে ৫-৬ ঘণ্টা ব্যাকআপ প্রদান করতো সেটা এখন ২০ মিনিট ব্যাকআপ দেয়!

ল্যাপটপের ব্যাটারি ০% ডিসচার্জ করবেন না

একটি ব্যাটারি ঠিক কতোবার চার্জ ও ডিসচার্জ হতে পারে তার একটি লিমিট রয়েছে। আপনি যদি বারবার ০% পর্যন্ত ডিসচার্জ করে ফেলেন তারপরে আবার ১০০% পর্যন্ত চার্জ করেন আপনার ল্যাপটপ ব্যাটারির আয়ু ৫০% বার আরো দ্রুত কমে যাবে। তাছাড়া ল্যাপটপ ব্যাটারি সঠিক চার্জ করার পদ্ধতি নিয়ে আমার ডেডিকেটেড আর্টিকেল রয়েছে, যা এখানে চেক করতে পারেন।

ল্যাপটপ অন করতে না করতেই ইউজ করা শুরু করবেন না

আপনার উইন্ডোজ ল্যাপটপ অন করলেন, পিসি আপনাকে ওয়েক্যাল ম্যাসেজ শো করলো, কিন্তু এর মানে এটা নয় পিসি ইনস্ট্যান্ট ইউজের জন্য রেডি হয়ে গেছে। কিছুটা সময় নিয়ে অপেক্ষা করা উচিৎ, অন্তত যতোক্ষণ মাউস পয়েন্টার থেকে বিজি আইকন সরে না যায়।

ল্যাপটপ অন হওয়ার সাথে সাথেই অনেক বড় কাজের চাপ চাপিয়ে দিলে ল্যাপটপ সেগুলোকে ঠিক মতো প্রসেস করতে পারবে না। কেনোনা সিস্টেম রান করতে প্রসেসরকে প্রথমেই অনেক কাজ করতে হচ্ছে এর মধ্যে নতুন টাস্ক প্রসেসর হ্যান্ডেল করতে নাও পরে, যদি এক্কেবারে সুপার হাই কনফিগ ল্যাপটপ হয় সে কথা আলাদা! এই ভুল করার মাধ্যমে ল্যাপটপ বা অপারেটিং সিস্টেম হ্যাং হয়ে যেতে পারে আর সাথে সফটওয়্যার বা অপারেটিং সিস্টেম নিজেই ক্র্যাশ করতে পারে।

চার্জে লাগিয়েই বেশিক্ষণ ল্যাপটপ ইউজ করলে ব্যাটারি খুলে নিন!

অনেকেই রয়েছেন, যারা ল্যাপটপ বাসাতেই বেশি ইউজ করেন, সেক্ষেত্রে চার্জার সর্বদা প্লাগ করা থাকে ল্যাপটপের সাথে। এতে ব্যাটারি আয়ু কমে যায়। হ্যাঁ, আপনার ল্যাপটপ ব্যাটারিতে ওভার চার্জ প্রোটেকশন রয়েছে, কিন্তু অনেক বেশি সময় ধরে চলা হিট থেকে আপনার ব্যাটারি ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে।

যদি ল্যাপটপ বাসায় চার্জে প্ল্যাগ করেই বেশি ইউজ করেন, সেক্ষেত্রে বলবো ব্যাটারি ৬০-৭০% চার্জ হওয়ার পরে খুলে রেখে দিন। খুলে রাখবেন কোথায় জানেন তো? বেস্ট জায়গা হচ্ছে ফ্রিজের মধ্যে রেখে দেওয়া। ডীপ ফ্রিজে নয় জাস্ট নর্মাল ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন। রাখার পূর্বে অবশ্যই ভালো কোন পলিথিন দিয়ে ব্যাটারিটি প্রটেক্ট করে নিতে পারেন, এতে ফ্রিজের পানি থেকে ব্যাটারি দূরে থাকবে! এভাবে বহুদিন ল্যাপটপের ব্যাটারি ভালো রাখা যেতে পারে!

অপারেটিং সিস্টেমকে যত্নে রাখুন

আপনার ল্যাপটপকে ঠিকঠাক রাখার জন্য যে কাজ গুলো গুরুত্বপূর্ণ সেগুলো একটি ভালো অভ্যাস তৈরি করুন। অপ্রয়জনিয় সফটওয়্যার ইন্সটল করা থেকে বিরত থাকুন। যদি সিস্টেমে অকাজের সফটওয়্যার ইন্সটল করা থাকে সেগুলোকে আনইন্সটল করে দিন। নিয়মিত রেজিস্ট্রি ক্লিন করুন, টেম্পোরারি ফাইল গুলো রিমুভ করুন, এসএসডিতে বেশি ডাটা রীড-রাইট করা থেকে বিরত থাকুন। ভালো অ্যান্টিভাইরাস এবং অ্যান্টিম্যালওয়্যার প্রোগ্রাম ইউজ করুন, সেগুলোকে নিয়মিত আপডেটেড রাখুন।

সাথে আপনার উইন্ডোজকে আপডেটেড রাখুন, ভুল করেও আপডেট বন্ধ করে রাখবেন না। যদি উইন্ডোজ ডিফেন্ডার ইউজ করেন সেক্ষেত্রে সেটাকে সব সময় আপডেটেড রাখুন। যদি সম্ভব হয় শুধু অরিজিনাল ড্রাইভার সফটওয়্যার ইউজ করুন। পিসির ড্রাইভার গুলোকে আপডেটেড রাখুন, ক্র্যাক বা প্যাচ করা সফটওয়্যার ইউজ করা থেকে বিরত থাকুন এবং নিয়মিত ভাইরাস ও ম্যালওয়্যার স্ক্যান করুন।

সরাসরি রোদে ল্যাপটপ ইউজ করবেন না

অনেক সময় ল্যাপটপ বাইরে ইউজ করার দরকার পরতে পারে, কিন্তু সেটাকে সরাসরি রোদে রেখে ইউজ করা উচিৎ নয়। এতে আপনার পিসি অনেক দ্রুত গরম হয়ে যাবে ফলে ব্যাটারি লাইফ কমে যাবে ও পারফর্মেন্স ডাউন হয়ে যাবে। এমন জায়গায় ল্যাপটপ রাখবেন না যেখানে অনেক ধুলো রয়েছে, এতে ল্যাপটপের বায়ু সঞ্চালনের পথে ধুলো ময়লা ল্যাপটপে প্রবেশ করতে পারে।

সরাসরি সূর্যের আলো ল্যাপটপের স্ক্রীনে লাগতে দেবেন না, এতে ল্যাপটপ স্ক্রীন নষ্ট হয়ে যেতে পারে। সূর্যের আলোতে সরাসরি ল্যাপটপ স্ক্রীন এক্সপোজ করলে বেশির ভাগ সময়ই স্ক্রীনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। আর হ্যাঁ ল্যাপটপ স্ক্রীন মোছার সময়ে যেকোনো কাপড় বা টিস্যু পেপার ইউজ করবেন না। এতে ল্যাপটপের স্ক্রীনের উপরে দেওয়া কোটিং নষ্ট হয়ে যেতে পারে। শুধু বাইরে নয়, বাসার মধ্যেও এমন জানালার পাশে ল্যাপটপ রাখবেন না যেখানে রোদের তীব্রতা রয়েছে ল্যাপটপ স্ক্রীন পরিষ্কার করার জন্য মাইক্রো ফাইবার কাপড় ইউজ করুন।

 

সোমবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২০

কোন কোন সাপ একেবারেই নিরীহ, অর্থাৎ বিষহীন?

বিষহীন সাপ

ঘরচিতি, কালনাগিনী, দাঁড়াশ, লাউডগা, তুতুর, লালবাড়ি বোড়া, বেত আছড়া, অজগর, জলঢোঁড়া, মেটেলি, জলমেটেলি৷

সামুদ্রিক সাপ

চ্যাপ্টা লেজের সামুদ্রিক সাপ ভীষণ বিষধর৷ এই ধরনের সাপ কামড়ালে প্রাণে বাঁচানো মুশকিল৷ এএসভি ইঞ্জেকশন এই সাপের কামড়ে কাজ করে না৷

প্রাথমিক চিকিৎসা

‘RIGHT’ ফর্মুলা মাথায় রাখতে হবে৷ R(Reassurance)–প্রথমে রোগীকে আশ্বস্ত করতে হবে৷ কারণ রোগী খুবই আতঙ্কের মধ্যে থাকেন৷ আতঙ্ক মৃত্যু ডেকে আনতে পারে৷ রোগীকে বোঝান সাপের কামড়ে আক্রান্ত বহু মানুষ চিকিত্সার ফলে বেঁচে উঠেছে৷ আপনি নিশ্চিন্ত থাকুন৷

I(Immobilization)–যত কম নাড়াচাড়া হবে, তত কম হারে বিষ সারা শরীরে ছড়াবে৷ স্কেল বা বাঁশের টুকরো সহ হাতে বা পায়ে (যে অংশে কামড়াবে) কাপড় দিয়ে হাল্কা করে বেঁধে দিন৷ হাত বা পা যাতে তিনি ভাঁজ করতে পারেন তাই এই ব্যবস্থা৷

GH(Go to Hospital)–ফোন করে জেনে নিন আপনার নিকটতম হাসপাতালে এএসভি, নিওস্টিগনিন, অ্যাট্রোপিন এবং অ্যাড্রিনালিন আছে কি না৷ মাথায় রাখবেন, সাপের কামড়ের সম্পূর্ণ চিকিৎসা একটি ব্লক প্রাইমারি হেল্থ সেণ্টারেই সম্ভব৷

T(Tell Doctor For Treatment)–হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসককে সাপের কামড়ের চিকিৎসা করতে বলুন৷ রোগীর কথা জড়িয়ে যাওয়া, নাকি সুরে কথা বলা, চোখের পাতা পড়ে আসা এগুলি লক্ষ্য করতে চিকিৎসককে জানান৷

রুল অফ ১০০

সাপে কামড়ানোর ১০০ মিনিটের মধ্যে ১০০ মিলিলিটার এএসভি শরীরে প্রবেশ করালে রোগী বেঁচে যাবে৷

খেয়াল রাখুন, ডাক্তারকে বলুন

পথে আসার সময় কামড়ের জায়গায় ফোলা কতটা বৃ‌দ্ধি পেয়েছে৷ ঠিক কত সময় আগে রোগী বলছেন যে চোখ বন্ধ হয়ে আসছে৷ কতক্ষণ পর্যন্ত রোগী কথা বলতে পেরেছেন৷

কী করবেন

  • শান্ত থাকবেন
  • কাছাকাছির মানুষজনকে ডাকবেন৷
  • হাতে ঘড়ি বা চুড়ি, বালা থাকলে খুলতে হবে৷
  • ক্ষতস্থান যত সম্ভব স্থির রাখতে হবে৷
  • যত তাড়াতাড়ি সম্ভব হাসপাতালে যেতে হবে৷

কী করবেন না

  • কোনওরকম বাঁধন দেবেন না৷
  • কামড়ের জায়গায় কোনও কেমিক্যাল লাগাবেন না৷
  • কামড়ের স্থানে ঠান্ডা, গরম, বরফ জল দেবেন না৷
  • কেটে চিরে বিষ বের করার চেষ্টা করবেন না৷
  • মনে রাখবেন, সাপ যখন কামড়ায় তার বিষ দাঁতের মাধ্যমে ইঞ্জেকশনের মতো শরীরের ভিতরে চলে যায়৷ বিষ পাম্প বলে একরকম অবৈজ্ঞানিক বস্তু প্রয়োগ করে ভোজবাজি দেখানো হচ্ছে৷ এগুলি সব অর্থহীন৷ উল্টে চন্দ্রবোড়া সাপের কামড়ের পর ক্ষতস্থান চিরলে মারাত্মক রক্তপাত হতে পারে৷
  • রোগী নিজে দৌড়ে বা সাইকেল চালিয়ে আসবেন না৷
  • সাপ ধরে হাসপাতালে আনার দরকার নেই৷

সাপ ঠেকাবেন কীভাবে?

  • বাড়ির চারপাশ পরিচছন্ন রাখুন৷ কার্বলিক অ্যাসিড শরীরে লাগলে ক্ষতি হয় তাই ব্যবহার না করাই ভাল৷ চুনের সঙ্গে ব্লিচিং পাউডার মিশিয়ে ছড়িয়ে দিন৷ এর ঝাঁঝালো গন্ধে সাপ আসে না৷
  • রাতে অবশ্যই বিছানা ঝেড়ে মশারি টাঙিয়ে শোবেন৷ দরজা-জানলার নিচে ফাঁকা জায়গা কাপড় গুঁজে ভরাট করে রাখতে পারেন৷
  • অন্ধকারে হাঁটাচলা করবেন না৷ হাতে লাঠি নিয়ে রাস্তা ঠুকে চলুন৷ হাততালি দিয়ে লাভ নেই, কারণ সাপের কান নেই৷
  • জুতো পরার আগে সেটা ঝেড়ে নিন৷ মাটির বাড়িতে ইঁদুরের গর্ত থাকলে তা বুজিয়ে ফেলু৷৷
  • ধন্যবাদ ৷৷

You can read more

কোরআন ও হাদিস স্বীকৃত আয়াতে শেফা বা সুস্থ হবার তদবির

সুস্থতা-অসুস্থতা উভয়টিই আল্লাহর নেয়ামত। সুস্থ হলে মানুষ বেশি করে আল্লাহর ইবাদত করতে পারে। শোকর আদায় করে কৃতজ্ঞ হতে পারে। আর অসুস্থ হলে আল্লা...