health tips Bangla লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
health tips Bangla লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

বুধবার, ২০ জানুয়ারী, ২০২১

ফ্যাট বাড়বে না কিন্তু শক্তি বর্ধন করবে এমন কিছু খাবারের নাম বলতে পারবেন কি

দৈহিক শক্তি বাড়াতে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পন্ন ওষুধি কৌশল এবং মনোবৈজ্ঞানিক চিকিৎসা এখন প্রায় সেকেলে হয়ে পড়েছে। আজকাল এই শক্তি বাড়াতে প্রাকৃতিকভাবেই দৈহিক শক্তি বর্ধক খাদ্যই অনেক বেশি কার্যকরী হিসেবে বিবেচিত হয়।

ঘরে-বাইরে যারা কঠোর পরিশ্রম করেন তাদের ঠিকমত বিশ্রাম নেয়া প্রয়োজন। শুধু বিশ্রাম নিলেই হবে না খেতে হবে পুষ্টিকর খাবার। কারণ আপনি কঠোর পরিশ্রম করছেন কিন্তু শরীরের যত্ন নিচ্ছেন না। তাহলে কিন্তু আপনি কাজ করার সক্ষমতা হারাবেন। অবশ্যই শরীরের যত্ন নিতে হবে। আর খেতে হবে এমন খাবার, যা খেলে ফ্যাট বাড়বে না, কিন্তু শক্তি বর্ধন করবে।

সারাদিন কাজের শেষে ক্লান্ত লাগা খুবই স্বাভাবিক। তবে এমনিতেই সারাক্ষণ দুর্বল লাগে। আবার কোনও কাজে শক্তি না থাকে তাহলে কিন্তু সমস্যা। মনে রাখবেন আপনার শরীরে শক্তি বাড়াতে খাবার মূখ্য ভূমিকা পালন করে। খাবার খাওয়া ঠিক থাকলে শরীরের শক্তি বাড়বে।

গবেষণায় দেখা গেছে, খাবার মেনুতে নিয়মিত দুধ, ডিম এবং মধু রাখলে এবং নিয়মতান্ত্রিক জীবন যাপন করলে দৈহিক দুর্বলতায় ভুগবেন না। এছাড়া শক্তি বাড়াতে আরও যা খাওয়া দরকার :

রসুন-



দৈহিক সমস্যা থাকলে এখনই নিয়মিত রসুন খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। স্মরণাতীতকাল থেকেই নারী পুরুষ উভয়েরই দৈহিক শক্তি বাড়াতে রসুনের পুষ্টিগুণের কার্যকারিতা সর্বজনস্বীকৃত। রসুনে রয়েছে এলিসিন নামের উপাদান যা দৈহিক ইন্দ্রিয়গুলোতে রক্তের প্রবাহ বাড়িয়ে দেয়।

পালং শাক-



পালং শাক শক্তির ভালো উৎস। পালং শাককে থাকা আয়রন, পটাশিয়াম শরীরে শক্তির মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।

ডিম-



দৈহিক দুর্বলতা দূর করতে এক অসাধারণ খাবার ডিম। প্রতিদিন সকালে, না পারেন সপ্তাহে অন্তত ৫ দিন ১টি করে ডিম সিদ্ধ করে খান। এতে আপনার দুর্বলতার সমাধান হবে।

শরীরের শক্তি বাড়াতে ডিম খেতে পারেন। ডিম প্রোটিণ সমৃদ্ধ খাবার। যা আপনার শরীরে শক্তি বাড়াতে সাহায্যে করে।

চকলেট-


চকলেটে রয়েছে ফেনিলেথিলামিন (পিইএ) ও সেরোটোনিন। এ দুটি পদার্থ আমাদের মস্তিষ্কেও রয়েছে। এগুলো দেহে শক্তির মাত্রা বাড়াতে সহায়ক। পিইএর সঙ্গে অ্যানান্ডামাইড মিলে অরগাজমে পৌঁছাতে সহায়তা করে।

ভিটামিন সি জাতীয় ফল-



দৈহিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে চাইলে প্রতিদিন খাবার তালিকায় রঙিন ফলমূল রাখুন। আঙ্গুর, কমলা লেবু, তরমুজ, পিচ ইত্যাদি ফল দৈহিক ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত উপকারী।

দুধ-




যেসব খাবারে বেশি পরিমাণ প্রাণিজ-ফ্যাট আছে এমন প্রাকৃতিক খাদ্য দৈহিক শক্তির উন্নতি ঘটায়। যেমন, খাঁটি দুধ, দুধের সর, মাখন ইত্যাদি। বেশিরভাগ মানুষই ফ্যাট জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে চায়। কিন্তু আপনি যদি দৈহিক শক্তির হরমোন তৈরি হওয়ার পরিমাণ বাড়াতে চান তাহলে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট জাতীয় খাবারের দরকার। তবে সবগুলোকে হতে হবে প্রাকৃতিক এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাট।।

মাংস-





গরুর মাংসে প্রচুর জিঙ্ক থাকে। কম ফ্যাটযুক্ত মাংস খান। যেমন কাঁধের মাংসে, রানের মাংসে কম ফ্যাট থাকে এবং জিঙ্ক বেশি থাকে। এইসব জায়গার মাংসে প্রতি ১০০ গ্রামে ১০ মিলিগ্রাম জিঙ্ক থাকে।

বাদাম-





বাদাম শক্তির ভালো উৎস। আখরোট, কাজু বা পেস্তা বাদাম খেতে পারেন।

ডাল-





শরীরের দুর্বলতা কাটাতে ডাল খেতে পারেন। ডালে থাকা প্রোটিন শরীরের শক্তি ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

কলা-




কলার রয়েছে ভিটামিন এ, বি, সি ও পটাশিয়াম। ভিটামিন বি ও পটাশিয়াম দৈহিক শক্তি বাড়ায়। আর কলায় রয়েছে ব্রোমেলিয়ানও। যা শরীরের টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বাড়াতেও সহায়ক। আর সর্বোপরি কলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণ শর্করা যা আপনার দেহের শক্তি বৃদ্ধি করে। ফলে ক্লান্তি আসবে না।

ধন্যবাদ প্রশ্নকর্তাকে।

সোর্স - গুগল

 

সোমবার, ১৮ জানুয়ারী, ২০২১

মুখের ব্রণ কী করে সম্পূর্ণ ভাবে দূর করা যায়? Bron Theke Mukti Pete Koroniyo Ki?

 

মুখের ব্রণ কী করে সম্পূর্ণ ভাবে দূর করা যায়?

 

ব্রণর জন্য ঘরোয়া প্রতিকার কী?      



·         মুলতানি মাটিতে গোলাপ জলের চন্দন মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে মুখে লাগান। পেস্ট শুকানোর পরে জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এটি আপনার ব্রণ হ্রাস করবে এবং আপনার মুখের সৌন্দর্য বাড়বে।

·         নীম ত্বকের প্রদাহ শিথিল করে। হলুদের সাথে নিম পাতা দিয়ে পেস্ট তৈরি করে মুখে লাগান এবং 20 মিনিট পরে ধুয়ে ফেলুন।

·         লেবুর অম্লীয় উপাদানগুলি ব্রণ নিরাময়ের জন্য দ্রুত হয়। লেবুটি মুখে ঘষে কিছুক্ষণ পর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

·         মেথির মধ্যে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-সেপটিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এবং এটি ব্রণে সারাতে অনেক সাহায্য করে। মেথির সতেজ পাতা দিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন এবং এটি আপনার মুখে লাগান এবং কিছুক্ষণ পর হালকা গরম জল দিয়ে আপনার মুখ ধুয়ে নিন।

·         অ্যালোভেরা জেল প্রদাহ হ্রাস করে এবং এটির মধ্যে ব্রণ নিরাময়ের বৈশিষ্ট্য রয়েছে। দিনে দুবার অ্যালোভেরা জেল প্রয়োগ করুন। এটি ব্রণর দাগ কমায়।

·         কমলা লেবুতে অম্লীয় অ্যাসিড এবং ভিটামিন সি রয়েছে যা ব্রণর সারানোর জন্য খুব উপকারী। কমলার রস ব্যবহার করুন ও মুখে কমলা খোসা লাগান, ব্রণের কোনও সমস্যা হবে না।

ব্রণর চিকিৎসা কী?



·         চর্ম বিশেষজ্ঞরা ব্রণ চিকিৎসা খুব ভাল করে করেন।

·         বেশিরভাগ চিকিৎসক ঔষুধের পরামর্শ দেন : রেটিনয়েডস, অ্যান্টিবায়োটিকগুলি, মলম। আস্তে আস্তে ক্ষত নিরাময় হয় এবং ব্রণ সেরে যায়।

·         গুরুতর ব্রণ নিরাময়ের জন্য, চিকিৎসক অ্যান্টিবায়োটিক Antibiotics লিখে দেন। এই ওষুধগুলি শরীরের ক্ষত কমায়।

·         অ্যান্টিবায়োটিকগুলি দ্বারা যদি ব্রণ নিরাময় না করা যায় তবে চিকিৎসকরা মহিলা এবং মেয়েদের স্পিনোলোকেটোন জাতীয় ওষুধের পরামর্শ দেন।

·         চিকিৎসকরা দেহের ক্ষত নিরাময়ে করতে স্টেরয়েড ইনজেকশন দেওয়ার পরামর্শ দেন।

·         ব্রণ ঠিক করতে ডাক্তার প্রথমে ব্রণর জায়গাটি দেখেন । কী ধরণের ব্রণ কত বড়ো বা ছোট , এগুলি যাচাই করার পরে তারা চিকিৎসা করেন ।

·         অতিরিক্ত গভীর এবং আহত ত্বকের অপারেশন করা হয়। এতে, চিকিৎসক ব্রণ কেটে ফেলেন এবং ব্রণর দাগটি একটি সূঁচ দিয়ে ঠিক করে এবং জায়গাটা মেরামত করে দেন।


বুধবার, ১৩ জানুয়ারী, ২০২১

গর্ভাবস্থায় প্যারাসিটামল খেলে কি ক্ষতি হয়?

অনেকেই শরীরের তাপমাত্রা বাড়লেই বা একটু জ্বর জ্বর ভাব দেখলেই প্যারাসিটামল খেয়ে নেন। দৈহিক বা সোমাটিক ব্যথায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে অ-মাদক বেদনানাশক, বিশেষ করে প্যারাসিটামলই ব্যবহৃত হয়।


মাথাব্যথা, গলাব্যথা, পেশির ব্যথা, দাঁতের ব্যথা, ঋতুকষ্ট ইত্যাদিতে প্যারাসিটামল খুবই কার্যকর। কিন্তু তাই বলে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া প্যারাসিটামল ব্যবহার করা একেবারেই অনুচিত। বিশেষ করে প্রেগন্যান্সি বা গর্ভাবস্থায় চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া মাত্রাতিরিক্ত প্যারাসিটামল খেলে তার থেকে অ্যাটেনশন ডেফিসিট হাইপার অ্যাকটিভিটি ডিসর্ডার বা অটিস্টিক স্পেকট্রাম ডিসর্ডার- এর মতো মারাত্মক স্নায়ুরোগ দেখা দিতে পারে।

সুইডেনের উপসালা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষকের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে সামান্য পরিমাণে প্যারাসিটামল বা এসিটামিনোফেন সেবনের ফলে ভ্রূণের স্নায়বিক গঠনতন্ত্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। ফলে সদ্যজাত শিশুর শরীরে দেখা দিতে পারে অ্যাটেনশন ডেফিসিট হাইপার অ্যাকটিভিটি ডিসর্ডার বা অটিস্টিক স্পেকট্রাম ডিসর্ডার-এর মতো মারাত্মক স্নায়ুরোগ।

এই গবেষকদের মতে, প্রেগন্যান্সি বা গর্ভাবস্থায় জ্বর বা যন্ত্রনা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনও ওষুধ খাওয়াই উচিত নয়। তাই গর্ভবতী নারী বা শিশুদের ক্ষেত্রে প্যারাসিটামল প্রয়োগের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে অনুরোধ করেছেন গবেষকরা। চিকিত্সকদের মতে, ২৪ ঘণ্টায় চার গ্রাম বা চার হাজার মিলিগ্রামের বেশি প্যারাসিটামল খাওয়া মোটেই উচিত নয়। কারণ তাতে কিডনি ও লিভারের মারাত্মক ক্ষতির ঝুঁকি থাকে।

সূত্র: জিনিউজ

শুক্রবার, ৮ জানুয়ারী, ২০২১

খেজুর ও দুধ মিশিয়ে খেলে কি উপকার হয়?

হাদিসে পাকে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন

আল্লাহর কাছে তোমরা সুস্বাস্থ্য প্রার্থনা কর। কারণ ঈমানের পর সুস্বাস্থ্যের চেয়ে অধিক মঙ্গলজনক কোনো কিছু কাউকে দান করা হয়নি।’ (ইবনে মাজাহ)



প্রতিদিন রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস গরম দুধে দুটি খেজুর মিশিয়ে খাবেন।খাওয়ার আগে বিসমিল্লাহ বলবেন,মুসলমান হলে জেনে থাকবেন এটা একটা সুন্নাহ। এছাড়া খেজুরের মধ্যে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধেও সাহায্য করে। মন ভালো রাখতেও কার্যকরী দুধ ও খেজুর। চলেন জেনে ফেলি খেজুর ও দুধ একসঙ্গে খেলে কী হয়-

খেজুরে আছে প্রাকৃতিক শর্করা। দুধে আছে ক্যালসিয়াম আর ভিটামিন সি। এই দুই খাবার একসঙ্গে খেলে তার পুষ্টিগুণও বেড়ে যায়। শরীর দুর্বল লাগামাথা ঘোরা এমন সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন সহজেই। এছাড়াও যারা জটিল কোনো অসুখে ভুগছেন তারাও এটি খেলে উপকার পাবেন।

চোখে সমস্যা দেখা দিতে পারে যেকোনো বয়সেই। দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতেও এই খেজুর দুধ খেতে পারেন। এছাড়াও চোখে অঞ্জনির সমস্যায়যারা একটানা কম্পিউটারের সামনে কাজ করেন তাদের জন্য খেজুর দুধ উপকারী।

নানারকম চেষ্টার পরেও ওজন বাড়াতে পারছেন নাএমন অনেকেই আছেন। তাদের ক্ষেত্রে কার্যকরী হতে পারে খেজুর দুধ। কারণ এটি খুবই স্বাস্থ্যকর। টানা বেশ কয়েক সপ্তাহ খেলে ওজন বাড়বে। এছাড়াও শরীরের উজ্জ্বলতা বাড়বে দ্রুত।

কোরআন শরিফ প্রথম লেখা হয়েছিল খেজুর গাছের পাতায়।

আল্লাহ বলেনঅর্থ : 'আমি জমিনে উৎপন্ন করেছি শস্য-দ্রাক্ষীশাক-সবজিজয়তুন ও খেজুর বৃক্ষ।সূরা-আবাসাআয়াত : ২৭।

'খেজুর ও আঙ্গুর ফল থেকে তোমরা সাকার ও উত্তম খাদ্য তৈরি কর। নিঃসন্দেহে বুদ্ধিমান লোকদের জন্য এতে নিদর্শন রয়েছে।সূরা- নাহালআয়াত : ৬৭এ ছাড়া সূরা আনআমের নিরানব্বই নম্বর এবং সূরা মরিয়মের তেইশ নম্বর আয়াতেও খেজুরের উপকারিতা বর্ণনা করা হয়েছে।

আসুন দেখি,খেজুর সম্পর্কে রাসূল (সা) কি বলেন-

হজরত সায়ীদ (রা.) বর্ণনা করেনএকদা আমি অসুস্থ হয়ে পড়লে রসুলে পাক (সা.) আমাকে দেখতে তাশরিফ নিয়ে এলেন। রসুলে পাক (সা.) পবিত্র হাতের শীতলতা আমার অন্তর পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিল। অতঃপর রসুলে আকরাম (সা.) এরশাদ ফরমালেন- 'তুমি অন্তরে কষ্ট অনুভব করছ। তুমি হারেস ইবনে কালদাহ সাকি্বফীর কাছে যাও। কারণ সে একজন চিকিৎসক। সে যেন মদিনার সাতটি আজওয়া খেজুর নিয়ে বীজসহ পিশে তোমার মুখে ঢেলে দেয়।' -আবু দাউদমিশকাত।

হজরত সাদ রাদিয়াআল্লাহু আনহু একবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে দেখতে যান এবং হৃদরোগের চিকিৎসার নসিহত পেশ করেন-

হজরত সাদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, ‘আমি অসুস্থ ছিলাম এবং রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে দেখতে এসেছিলেন। তিনি আমার বুকের ওপর হাত রাখলেন তখন আমি হৃদয়ে শীতলতা অনুভভ করলাম।তিনি বলেনতোমার হৃদরোগ হয়েছে। এরপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে আজওয়া খেঁজুর খেতে দিয়ে বললেনতুমি সাতদিন আজওয়া খেজুর খাবে তাহলে তুমি পরিপূর্ণ সুস্থ হয়ে যাবে’ (আবু দাউদ)

বিষক্রিয়া বন্ধে : আজওয়া খেজুর বিষের কার্যক্ষমতা কমাতে বিশেষভাবে কার্যকর। এই সম্পর্কে রসুল (সা.) এরশাদ ফরমাইছেন, 'আজওয়া জান্নাতের ফল। এর মধ্যে বিষের নিরাময় রয়েছে।তিরমিজিমিশকাতুল মাসাবিহ। 'হজরত সা'আদ ইবনে আবু ওয়াক্কাস (রা.) বর্ণনা করেনরসুল পাক (সা.) এরশাদ করেনযে ব্যক্তি প্রতিদিন সকালে সাতটি আজওয়া খেজুর খাবেসে দিন বিষ এবং জাদু তার কোনো ক্ষতি করতে পারবে না।বুখারি শরিফ।অন্যদিকে,

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘অবশ্যই গবাদি পশুর মধ্যে তোমাদের জন্য শিক্ষা রয়েছে। তাদের উদরস্থিত গোবর ও রক্তের মধ্য থেকে আমি তোমাদের পান করাই বিশুদ্ধ দুধযা পানকারীদের জন্য সুস্বাদু। (সুরা নাহলআয়াত : ৬৬)

রাসুল (সা.) বলেছেনআর যখন তোমাদেরকে দুধ পান করানো হয়তখন বলবেহে আল্লাহ! আমাদেরকে এতে বরকত দিন এবং আরো বেশি দান করুন। কারণমানুষের খাদ্য তালিকায় দুধের চেয়ে উত্তম কোনো খাদ্য নেই। (আবু দাউদহাদিস : ৩৭৩০)।

·



 

শুক্রবার, ৮ নভেম্বর, ২০১৯

যে ১০টি ওষুধ সবসময় আপনার বাসায় রাখা উচিত

১. প্যারাসিটামল (Paracetamol)
২. ট্রামাডল (Tramadol)
৩. টাইমনিয়াম মিথাইলসালফেট (Tiemonium Methylsulfate)
৪. এসোমিপ্রাযল/ ওমিপ্রাযল (Esomeprazole/omeprazole)
৫. অ্যালুমিনিয়াম হাইডঅক্সাইড (Aluminium hydroxide suspension)
৬. ওরস্যালাইন (Oral Rehydration Saline)
৭. ফেক্সোফেনাডিন/রুপাটাডিন (Fexofenadine/ Rupatadine)
৮. সিলভার সালফাডায়াযিন অয়ন্টমেন্ট (Silver sulfadiazine ointment)
৯. পোভিডন-আয়োডিন মলম (Povidone-iodine ointment)
১০. অ্যাসপিরিন (Aspirin)

★★ প্যারাসিটামল (Paracetamol)
জ্বরের জন্য প্রথমে একটি প্যারাসিটামল খেতে পারেন। জ্বর বাড়লে (<১০৩F) বা ৩ দিনের বেশি জ্বর থাকলে ডাক্তার দেখান। তবে পেটে ব্যাথা, চোখের সাদা অংশ হলুদ হয়ে যাওয়া বা জন্ডিসের অন্য কোন উপসর্গ দেখলে প্যারাসিটামল খাওয়া থেকে বিরত থাকুন ।

★★ ট্রামাডল (Tramadol)
কোন প্রকার ঝুঁকি ছাড়াই ট্রামাডল পেইনকিলার হিসেবে নেয়া যায়; এমনকি অ্যাসমা রোগীরাও এটি নিতে পারবেন ।

★★ টাইমোনিয়াম সালফেট (Tiemonium sulphate)
যেকোন প্রকার পেটে ব্যাথার ক্ষেত্রে বিশেষ করে পিরিয়ডের প্রথম কয়েক দিনের ব্যাথার জন্য এটি অত্যন্ত কার্যকর একটি ওষুধ ।

★★ এসোমিপ্রাযল/ওমিপ্রাযল (Esomeprazole/Omeprazole)
অধিকাংশ মানুষই কোন না কোন সময় বুক জ্বলা বা গ্যাসের সমস্যায় ভুগতে হয়; বিশেষ করে ভরপেট খাওয়ার পর। এসোমিপ্রাযল/ ওমিপ্রাযল পাকস্থলীতে অ্যাসিড গঠন কমিয়ে বুক জ্বলা কমাতে সাহায্য করে। অনেক সময় গ্যাসের জন্য অনেকটা হার্ট অ্যাটাকের মত বুকে ব্যাথা হয়, এজন্য ৩০ মিনিটের মধ্যে অবস্থার উন্নতি না হলে দ্রুত নিকটস্থ হাসপাতালের জরুরী বিভাগে যোগাযোগ করুন।
 (আরও জানতে দেখুন হৃদরোগের লক্ষণ এবং বুকে ব্যথা)

★★ অ্যালুমিনিয়াম হাইড্রক্সাইড সাস্পেনশন (Aluminum hydroxide suspension)
বুক জ্বলা এবং গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তির জন্য ২ চামচ করে অ্যালুমিনিয়াম হাইড্রক্সাইড সাস্পেনশন খেতে পারেন। সাস্পেনশন্টি ফ্রিজে রাখতে পারবেন এবং ঠাণ্ডা খেলেই বেশি আরাম পাবেন। এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে কয়েকবার পাতলা পায়খানা হতে পারে, এতে চিন্তার কিছু নেই ।

★★ ওরস্যালাইন (Oral Rehydration Saline)
ডায়রিয়ার সময় খুব সহজেই শরীর থেকে অনেক পানি বেরিয়ে যায়। প্রত্যেকবার পাতলা পায়খানা হওয়ার পর স্যালাইন খাওয়া উচিত। শরীরে পানিশূন্যতা হলে নানারকম জটিলতা দেখা দিতে পারে। অনতিবিলম্বে ডাক্তার দেখান যদি। আপনার ডায়রিয়ার সাথে জ্বরও হয়।২ দিনের বেশি সময় ডায়রিয়া থাকে মুখ শুকিয়ে গিয়ে পিপাসা লাগে খুব কম অথবা একেবারেই পেশাব না হলে প্রচণ্ড পেটে ব্যাথা হলে পায়খানার সাথে রক্ত গেলে আপনার উচ্চ রক্তচাপ (hypertension) থাকলে ওরস্যালাইন খাওয়ার আগে রক্তচাপ মেপে নেয়া ভাল ।

★★ফেক্সোফেনাডিন/রুপাটিডিন (Fexofenadine/Rupatadine)
এই অ্যান্টিহিস্টামিনগুলো তুলনামুলকভাবে কম ঝুঁকিপূর্ণ। যাদের অ্যালারজিক রাইনিটিস (ধুলা, পরাগ, তেলাপোকা ইত্যাদির সংস্পর্শে আসলে হাঁচি হওয়া) আছে তারা রাতে একবার ফেক্সোফেনাডিন বা রুপাটিডিন নিলে হাঁচি ও নাক থেকে পানি পড়ার উপশম হবে ।

★★ সিল্ভার সালফাডিয়াযিন (Silver sulfadiazine cream)
হালকা পুড়ে গেলে প্রথমে পোড়া জায়গাটি কলের পানির নিচে ধরুন। পানি শুকিয়ে গেলে যত্ন সহকারে পোড়া জায়গায় সিলভার সালফাডিয়াযিন অয়ন্টমেন্ট দিন। ফোসকা পড়লে সেটা উঠানোর চেষ্টা করবেন না। তবে বেশি পুড়ে গেলে অবশ্যই ডাক্তার এর সাথে যোগাযোগ করুন ।

★★পভিডন-আয়োডিন মলম (Povidone-iodine ointment)
হালকা রক্তপাত সহ ছোটখাটো কাটা-ছেড়ার ক্ষেত্রে ক্ষতটি শুকনা পরিষ্কার কাপড় দিয়ে চেপে ধরে রাখুন। রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে গেলে কাটা জায়গায় পভিডন-আয়োডিন অয়ন্টমেন্ট দিন। এসবক্ষেত্রে স্যাভলন দিয়ে পরিষ্কার না করাই ভাল। আপনি যদি কোন প্রকার ব্লাড থিনার (যেসব ওষুধের কারণে রক্ত জমাট বাধার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্থ হয়) নিয়ে থাকেন অথবা অনেক বেশি কেটে গেলে বা প্রচুর রক্তপাত হলে আপনার ডাক্তারের সাহায্য লাগতে পারে ।

★★ অ্যাসপিরিন (Aspirin)
আকস্মিক বুকে ব্যথা এবং পরবর্তীতে বাম হাত, চোয়াল বা গলার বাম দিকে ব্যথা হওয়া হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ। হার্ট অ্যাটাকের যেকোন লক্ষণ দেখা দিলে সাথে সাথে ২/৩ টি বেবি অ্যাসপিরিন খেয়ে নিন এবং যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে যাওয়ার চেষ্টা করুন ।

উল্লিখিত কোন ওষুধে আপনার অ্যালারজি থাকলে সেটি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন । বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় এবং গর্ভাবস্থার সময় অনেক ওষুধই খাওয়া যায় না, এ বিষয়ে আপনার ডাক্তারের পরামর্শ নিন ।

[ জনস্বার্থে শেয়ার করুন ]

You can read more

কোরআন ও হাদিস স্বীকৃত আয়াতে শেফা বা সুস্থ হবার তদবির

সুস্থতা-অসুস্থতা উভয়টিই আল্লাহর নেয়ামত। সুস্থ হলে মানুষ বেশি করে আল্লাহর ইবাদত করতে পারে। শোকর আদায় করে কৃতজ্ঞ হতে পারে। আর অসুস্থ হলে আল্লা...